পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় বাবুল শেখ ওরফে লগা ( ৪০) নামে চরমপন্থি দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার ( ১৩ মে) ভোর রাতের দিকে ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুরের একটি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত লগা কোলাদী বিজয়রামপুরের হোসেন শেখের ছেলে। তিনি সর্বহারা দলের নেতা ছিলেন। এছাড়া একাধিক হত্যা, ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে।
তিনি পাবনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যার মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খানের বিশেষ ক্যাডার ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুর এলাকার সেউলি বাজার থেকে রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এরপর এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দলীয় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও চুরির মালামালের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মতো তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই লগা সর্বনিম্ন অর্ধশত মানুষকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এর কাজই ছিল মানুষ হত্যা। এজন্য সে এক সময় ক্রসফায়ারের আসামি ছিল। দুবলিয়া বাজারে বাবা-ছেলেকে সে নিজেই হত্যা করেছিল। মানুষকে হত্যা করাই তার নেশা ও পেশা ছিল। বর্তমানে এলাকায় গরু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লগা চরমপন্থি দলের নেতা ছিল। তাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরএ