বান্দরবান: নানা ধর্মীয় আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বানের স্মৃতি বিজরিত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা।
গৌতম বুদ্ধত্ব লাভের জন্য ২৯ বছর বয়সে গৃহ ত্যাগ করেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহনের পর নিরঞ্জনা নদীর তীরে এক বটবৃক্ষ মূলে ৬ বছর কঠোর তপস্যার পর বুদ্ধত্ব লাভ করেন, আর তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।

এদিকে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নানা আয়োজনে এই দিনটিকে স্মরণ করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (১১ মে) সকালে বান্দরবানের রাজবাড়ি প্রাঙ্গণ থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে গিয়ে বোধিবৃক্ষতলে সমবেত হয় পূজারীরা। সেখানে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণের পর নর-নারী, দায়ক-দায়িকা এবং উপাসক-উপাসীকারা চন্দনের জল ঢেলে ও ফুল নিয়ে বোধি বৃক্ষমূলের পূজা করে।
পরে বিহারে পঞ্চশীল গ্রহণ এবং হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এসময় ধর্মদেশনা প্রদান করেন বান্দরবানের উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত ড. সুবন্নলংকারা মহাথের ও রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উ. কেতুঃ মহাথের, নন্দশ্রী ভিক্ষু।
এসময় বোমাং রাজা উচ প্রু, রাজ কুমার চহ্লা প্রু জিমি, রাজকুমার মংওয়ে প্রু, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, রাজকুমার চসিংপ্রু বনিসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারী এবং দায়ক-দায়িকারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে নানা আয়োজনে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করে আসছে।
আরএ