কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়া ও নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্যের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
শুক্রবার (২ মে) চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহির স্বাক্ষরিত আদেশপত্রে বলা হয়, চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনের দায়িত্ব পালনে অবহেলা, সচেতনতার অভাব এবং বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ১১ জুন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে। যারা ভিয়েতনামে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে জানা যায়, তারা কুমিল্লার চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের কাজী খবির উদ্দিনকে ‘বাবা’ দেখিয়ে চিওড়া ইউপি থেকে জন্মসনদ তৈরি করেন। সেই সনদ ব্যবহার করে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন।
ঘটনার পর ১৫ জুন কুমিল্লা জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপ-পরিদর্শক ইমাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৭ জুন হুমায়রা ও শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চেয়ারম্যান আবু তাহের দাবি করেছেন, তিনি জন্মসনদ ইস্যুর ঘটনায় রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছিলেন এবং তার যথাযথ জবাবও দিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় ডিএসবি কর্তৃক দায়ের করা মামলায় কথিত বাবা কাজী খবির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
তাহের বলেন, সেই মামলায় আমি একজন সাক্ষী হিসেবে ছিলাম, এরপরও আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এসআরএস