ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

সালতামামি

সালতামামি-২০২১

সুপ্রিম কোর্ট: করোনাকালে আলোচিত যত মামলা 

ইলিয়াস সরকার,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
সুপ্রিম কোর্ট: করোনাকালে আলোচিত যত মামলা 

ঢাকা: মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যক্রম খানিকটা ব্যাহত হলেও দুই শারীরিক আর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে কার্যমক্রম চলেছে সুপ্রিম কোর্টে।  
বছরজুড়ে এই অঙ্গনে আলোচিত ছিল-বাবা মায়ের অমিলে শিশুদের জিম্মা নিয়ে রিট, রাজাবারবাগ পীর, মাসুদ রানার কপিরাইট, খালেদার জন্মদিন, বিচারক কামরুন্নাহার, কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার রায়, সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ১০ বছরের দণ্ড, আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ তথ্যচিত্রটি ইন্টারনেট থেকে অবিলম্বে সরানো নিয়ে রিট।


 
প্রকাশ হয়েছে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের রায়, পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক গেমস বন্ধের নির্দেশ এবং ইকমার্স তথা ইভ্যালি নিয়ে আদেশ-নির্দেশ ইত্যাদি। এরমধ্যে এ বছর অনেক আইনজীবী ইহকাল ত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন সাবেক দুই আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার। ইন্তেকাল করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন।
 
শিশুদের নিয়ে টানাটানি:

দাম্পত্য জীবনে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ডিভোর্স হয়। কিন্তু একপক্ষ সন্তানদের না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই রকম একটি রিট করেন জাপানি নারী ডা. এরিকো নাকানো। তার দুই শিশুকন্য হাজির চেয়ে আবেদন করেন এই বিদেশিনী। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট বাবার জিম্মায় দেন দুই শিশুকে। পরে এরিকো আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেটি এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
 
এরিকোর মতো ভারতীয় নারী সাদিকা শেখ, গুলশানের তাসনোভা, রংপুরের এক নারীসহ কয়েকজন নারী ও পুরুষ তাদের সন্তানের জিম্মা নিয়ে রিট করেন। এসব রিট শুনানির সময় উচ্চ আদালত বলেছেন,পরিবারের এমন পরিস্থিতিতে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা থাকায় অবস্থায় উচ্চ আদালতে আসেন। কিন্তু সেসব মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। তাই পারিবারিক আদালতে থাকা মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
 
রাজারবাগ দরবার:

সারা দেশে রাজারবাগ পীরের অনুসারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন হয়রানিরমূলক মামলা করার অভিযোগ এনে কয়েকজন ব্যক্তি রিট করেন। ওইসব রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একরামুল আহসান কাঞ্চনের (রিটকারী) বিরুদ্ধে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সর্বমোট ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো সম্পর্কে প্রকাশ্য ও গোপনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, অধিকাংশ মামলার বাদী, সাক্ষী, ভুক্তভোগীরা কোনও না কোনোভাবে রাজারবাগ দরবার শরিফ এবং ওই দরবার শরিফের পীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাজারবাগের দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান এবং তার অনুসারীরা তাদের দরবার শরীফের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিরীহ জনসাধারণের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে আসছে বলে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। ’
 
এছাড়া রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমান, তার সহযোগী ও অনুসারীদের কার্যক্রম ‘জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ’ বলে হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এসব বিষয়ের ওপরে পরবর্তীতে শুনানি হবে।
 
মাসুদ রানা:
 
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আব্দুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে গত বছরের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ১৩ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকলো।
 
খালেদা জিয়ার জন্মদিন:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি জন্মদিন (সিঙ্গেল) নির্ধারণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত নথি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সকল শিক্ষাবোর্ডকে এ নির্দেশনা দেন। পরে এসব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। জানুয়ারিতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
 
বিচারক কামরুন্নাহার:

বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ছিলেন। তিনি রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১১ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রায় ঘোষণার সময় তিনি একটি পর্যবেক্ষণ দেন। পর্যকবেক্ষণে বলা হয়, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়। এমন পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা। পরে তাকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রলায়ে সংযুক্ত করা হয়। কিন্ত প্রকাশিত রায়ে ওই পর্যবেক্ষণ ছিল না।
 
এদিকে ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার পরও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭- এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ করেন আপিল বিভাগ।
 
আল জাজিরার প্রতিবেদন:

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ তথ্যচিত্রটি দেশে-বিদেশে ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম থেকে অবিলম্বে সরানোর পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসির প্রতি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম কর্তৃপক্ষ যাতে প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলে এবং পুনরায় আপলোড না করে সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ জানাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ড বহাল:

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে, তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন।

রায় গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে।
 
কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা:

২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ।
 
যে রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া এক আসমির দণ্ড বহাল রেখেছেন। এছাড়া ১৪ বছরের দণ্ডিত ৩ আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল, আরেকজনকে খালাস এবং বাকি একজনের দণ্ড ভোগ শেষ হলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।   
 
২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সমাবেশের দুই দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
 
পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক গেমস বন্ধের নির্দেশ:

দেশের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেমসহ ক্ষতিকারক সব অনলাইন গেমস অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর ১৬ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
 
যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর:

যাবজ্জীবন সাজা অর্থ ৩০ বছরের কারাদণ্ড, এমন রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে, কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড উল্লেখ করলে তখন ওই আসামির আমৃত্যু কারাবাস হবে। এই ব্যাখ্যা দিয়ে ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) আপিল বিভাগের ১২০ পৃষ্ঠার এই রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ই-কমার্স:

স্ত্রীসহ ইভ্যালির মালিক আটক হওয়ার পর অনলাইনে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে অনেক গ্রাহক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির সব নথি আদালতে আসার পর একটি বোর্ড গঠন করে আদেশ দেন।
 
চেয়ারম্যান ছাড়া বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর। মাহবুব কবীর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস পরিচালনা পর্ষদকে অর্থ ফেরতে চাপ দিতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, তারা সমস্যা সমাধানে ইভ্যালির হেড অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১  
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।