ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

স্মৃতিচারণ

বিএ পড়ার সময় প্রথম রোজা রাখি: ডেপুটি স্পিকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৬
বিএ পড়ার সময় প্রথম রোজা রাখি: ডেপুটি স্পিকার ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

শান্তির ধর্ম ইসলামের হিসেবে অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ, রোজা ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সময় পার করার চেষ্টা করেন।

এই রোজাকে ঘিরে রয়েছে নানা স্মৃতি, নানা কথা। সমাজে আজ যারা বড় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের জীবনের প্রথম রোজার স্মৃতিকথা জানার চেষ্টা করেছে বাংলানিউজ। এমন একজন বিশেষ ব্যক্তি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে তার জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দুইপুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহজাহান মোল্লা’র সঙ্গে জীবনের প্রথম রোজা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। সেই স্মৃতিচারণের চুম্বুকাংশ পাঠকের জন্য।

জীবনের প্রথম রোজার স্মৃতিচারণ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমি যখন বিএ পড়ি, তখন প্রথম রোজা রাখি। তার ভাষায়, ‘রমজান মাসে একদিন চাচা এসে দেখেন আমি দুপুর বেলায় ভাত খাচ্ছি। চাচা কয় ক্যারে বাহে, বুড়া গ্যাদা হয়ে গেলু রোজা থাকিস না, দুপুর বেলাত ভাত খাস। ’

এরপর চাচা বলে, ‘ভাই (আমার বাবা) হলো পরহেজগার মানুষ, তার জন্য আমরা নামাজ না পড়ে থাকা পারি না। আর তুই রোজা না থাকি দুপুরত ভাত খাস! আমি ভাই এর কাছে কয়া (বলে) দিমু। ’

ডেপুটি স্পিকার বলেন, তখন ১৫ রোজা পার হয়ে গেছে। ওইদিনের পর থেকে রোজা রাখা শুরু করলাম, এরপর আর রোজা ছাড়ি নাই। একবার শুধু ল’ পড়ার সময় ১৯৬৬ সালে ময়মনসিংহে হলে থাকাকালীন সেহেরি করার পর বমি হয়; এরপর রোজা ভেঙে ফেলি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু রোজা ভাঙা যায়। এর বাইরে আর কোনো দিন রোজা রাখা বাদ দেইনি।

ইফতার ও সেহেরি প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, (কিশোর বয়সে) তখন ইফতার করার মজাই ছিল অন্যরকম, বাড়ির সবাই এক সঙ্গে বসে ইফতার করতাম। পাটি পেতে বসে সবার সঙ্গে ইফতারি করার অন্য রকম আনন্দ ছিলো। এখন অবশ্য সেটা আর হয় না। কর্মের কারণে সবাইকে এক জায়গায় করারও কঠিন হয়ে পরে। তাই সেই আনন্দ আর নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৬
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।