ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

অতীত মনে করিয়ে দেয় ‘নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদ’

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
অতীত মনে করিয়ে দেয় ‘নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদ’

রাঙামাটি: ঠিক ছয় দশক আগে গঠিত হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটি। এর আগে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ রাঙামাটির আগের চিত্র ছিল সুজলা-সুফলা, মনোমুগ্ধকর সমতল এলাকা।

তৎকালীন সরকার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করার কারণে পুরো এলাকা হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। গড়ে ওঠে মানুষের তৈরি কাপ্তাই হ্রদ।

তবে কবির একটি প্রবাদ বাক্য আছে-
‘নদীর এ কূল ভাঙে,
ওই কূল গড়ে,
এইতো নদীর খেলা’।

হ্রদের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন রাঙামাটিতে বসবাসরত স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইবাদতের জন্য উল্লেখযোগ্য মসজিদ ছিল। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘রাঙামাটি জামে মসজিদ’। পরবর্তী গড়ে ওঠা নতুন জনপদের রিজার্ভবাজার এলাকায় কয়েক একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয় পুরাতন সেই মসজিদটির আদলে ‘নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদ’।

মসজিদটির আঙিনা সাজানো হয়েছে নানা রকম ফুলের বাগান দিয়ে। মসজিদের সৌন্দর্য, প্রাঙ্গণে ফুলের সমারোহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সৌন্দর্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিমুগ্ধ হয়। তাই জুম্মার নামাজের দিনে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে ছুটে আসেন নামাজ আদায় করতে। দুই তালা ভবনের এ মসজিদটিতে একসঙ্গে দেড়-দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।

নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য আগ্রহের প্রাণকেন্দ্র। এ মসজিদটি দেখে আমরা প্রাচীন রাঙামাটির কথা স্মরণ করতে পারি।

মসজিদটির পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা নঈম উদ্দিন আল কাদেরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি এ মসজিদে গত পাঁচ বছর ধরে ইমামতি করছি। মসজিদটির ইতিকথা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে। এখানে চাকরি করতে পেরে ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।