ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

১৩ টাকায় ১ ঘণ্টা ভ্রমণ বাইসাইকেলে

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
১৩ টাকায় ১ ঘণ্টা ভ্রমণ বাইসাইকেলে বাইসাইকেল স্টেশন

বেইজিং থেকে: চীন অনেক বদলে গেছে। অন্তত নব্বইয়ের দশকে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের বর্ণনার সঙ্গে মোটেই মিল খুঁজে পাইনি।

স্পষ্ট মনে পড়ে তখন পড়েছিলাম, চীনা শিশুরা বিশেষ করে কন্যা শিশুদের লোহার জুতা পরানো হতো যাতে তাদের পা বড়ো হতে না পারে। কিন্তু অনেক খেয়াল করেছি কোনো শিশুর পায়ে লোহার জুতো চোখে পড়েনি।

আবার নব্বইয়ের প্রজন্মের অনেকের পায়ের মাপও কিন্তু বাঙালিদের তুলনায় কম না। অর্থাৎ আমরা যা জেনেছিলাম তা হয়তো বিশেষ কোনো এলাকার চিত্র হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু পুরো গণচীনের চিত্রবলে মেনে নেওয়া কষ্টকর।  

প্রশস্ত ও পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট। তবে এখানেও যানজট লক্ষ্যনীয়, কিন্তু ঢাকার মতো নয়। যানজটে পড়লেও যানবাহনে কঠোরভাবে শৃঙ্খলা মেনে চলা হয়। ঢাকার মতো লেন অমান্য করার প্রবণতা নেই।

নেই ট্রাফিক আইন অমান্যের প্রবণতাআবার ঢাকার মতো ট্রাফিক পুলিশের যুদ্ধাদেহী উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বলতে গেলে পুরো বেইজিংয়ে কোনো পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। দুই দিনে মাত্র কয়েকটি টহল পুলিশের গাড়ি নিঃশব্দে চলে যেতে দেখেছি। হতে পারে তারা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাচ্ছে। রাস্তার উপর কোথাও পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি।  

এর আগে অনেক দেশ ভ্রমণ করলেও বাংলাদেশের মতো মোড়ে মোড়ে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় নয়। এমনকি বাংলাদেশের তুলনায় অনুন্নত নেপাল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ঢাকার মতো হাতের ইশারায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু থাকলেও মোড়ে একজনের বেশি পুলিশ চোখে পড়েনি। একজনেই শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ঢাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ ক্যাম্প। তবুও আইন মানানো যায় না। হরহামেশাই উল্টো পথে চলছে গাড়ি, দিনদিন বাড়ছে এই প্রবণতা।

বেইজিংয়ের প্রায় প্রত্যেকটি রাস্তায় বাইসাইকেলের পৃথক লেন রয়েছে। আবার মজার বিষয় হচ্ছে, রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার বাইসাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট অ্যাপসের মাধ্যমে সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া ১ চীনা মুদ্রা। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ টাকার সমান। অর্থাৎ ১৩ টাকা দিয়ে এক ঘণ্টার জন্য বাইসাইকেল ভাড়া করে যতদূর খুশি যেতে পারবেন। সেখানে নিকটতম স্টেশনে রাস্তার উপর রেখে গেলেই চলবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুটপাতে শোভা পাচ্ছে শত শত বাইসাইকেল। তবে বাইসাইকেল ব্যবহারের তুলনায় মোটরবাইকের পরিমাণ নগন্য।

বাইসাইকেল স্টেশন থেকে ভাড়া নিচ্ছেন একজনএরা বামপন্থী হলেও আমাদের মতো রাস্তার কিন্তু বাম দিয়ে চলে না। এখানে প্রত্যেকে তার ডান দিক দিয়ে চলাচল করে। তবে গাড়ির চালকের আসন বাম দিকেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।