ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বাণিজ্যমেলা

দিন শেষে ইপিবি’র উচ্ছেদ অভিযান

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪
দিন শেষে ইপিবি’র উচ্ছেদ অভিযান

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: সারাদিন বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে হকাররা দেদারছে বেচাকেনা করেছে। আর শেষ মুহূর্তে বেচাকেনায় বেঘাত সৃষ্টি করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।


 
মেলার ২৭তম দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইপিবি’র উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অবশ্য অভিযানে একজন হকারকেও আটক করা যায়নি। এমনকি অনেক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে তা করা হয়নি।
 
দর্শনার্থীদের দাবি, এটা ইপিবির নাটক। তারা দেখাচ্ছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা মেলার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অভিযান চালালে সারাদিন করতে পারতো। এখন তো মেলার শেষ সময়, এ সময় অভিযান করে কী লাভ?

মূলত ইপিবি থেকে যখন অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন কিছু অসৎ কর্মচারী আগে থেকেই বাঁশি বাজিয়ে হকারদের সতর্ক করে দেন। বাঁশির শব্দ পেয়ে হকাররা তাদের তল্পিতল্পাসহ পালিয়ে যায়।

আর অভিযান চালানোর সময় প্রতিনিধিদল এতো দ্রুত হাঁটে যে একদিকে হকারদের সরিয়ে দিয়ে অন্যদিকে গিয়ে আবার বেচাকেনা শুরু করে। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে একই স্টল মালিক ও হকারদের ধরে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা সেটা মানছে না।
 
অভিযান শেষে জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। কিন্তু এরা যে কীভাবে প্রবেশ করে তা আমরা জানি না। কারণ মেলায় প্রবেশের দায়িত্ব আমাদের হাতে নেই।
 
তিনি দাবি করে, আমরাতো তাদের সঙ্গে মারামারি করতে পারি না। আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করি। কিন্তু তারা শোনে না।

অন্যদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় হকারদের অত্যাচারে অতিষ্ট দর্শনার্থীরা। মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পরই হকারদের হাতে হয়রানির শিকার হতে হয় দর্শনার্থীদের।

সোহেল রহমান নামের এক দর্শনার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, এটা কোনোদিনও বাণিজ্য মেলা বলা যাবে না, এটাকে হকার মেলা বলতে হবে। কর্তৃপক্ষই টাকা নিয়ে এসব হকারদের মেলায় প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। এতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।