রাজশাহী: “গাছ লাগাই, ভবিষ্যৎ বাঁচাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা পালন করেছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি “সবুজের অভিযান– ২০২৫: সবুজে গড়ি আগামী”।
পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু সচেতনতা এবং সবুজ-শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য ও পরিবেশপ্রেমী তরুণরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফলদ, বনজ, ওষুধি ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছ রোপণ করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন উদ্যোগ সত্যিই সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা, পরিবেশ-সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলে। শুধু বইয়ের পড়ার মধ্যেই শিক্ষা সীমাবদ্ধ না, প্রকৃত শিক্ষা তখনই পূর্ণতা পায় যখন আমরা সমাজের জন্য, পরিবেশের জন্য কিছু করতে পারি। বসুন্ধরা শুভসংঘ সে পথেই কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বসুন্ধরা শুভসংঘের এ কার্যক্রমের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমি আশা করি, এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ আরও ছড়িয়ে পড়বে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর মধ্যেও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যকরী সদস্য রাফিয়া ইসলাম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। গাছ লাগানো শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্ব। আমরা চাই, এ সবুজ অভিযাত্রা যেন আরও বিস্তৃত হয় এবং সবাই যেন এ কাজে যুক্ত হয়।
কর্মসূচিতে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মিশন চাকমা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং দিন দিন কমে যাওয়া সবুজ ভূমি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গাছ লাগানো মানে একটি প্রাণ রক্ষা করা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।
সার্বিক বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আলফাজ উদ্দিন বলেন, শুধু গাছ লাগানোই যথেষ্ট নয়, এর পরিচর্যা, যত্ন এবং সচেতনতা তৈরির কাজটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কাজ শুরু করি, কিন্তু এখানেই থেমে যাই না। গাছের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ কাজ আজকের জন্য নয়, এটি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার।
বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরুণদের সম্পৃক্ত করে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও প্রতি বছর নানা উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত করে আসছে।
এসআই