ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

৫ জেলায় বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু

কান্ট্রি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৭, অক্টোবর ৫, ২০২৫
৫ জেলায় বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু ফাইল ফটো

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, ঝিনাইদহে দুইজন, নারায়ণগঞ্জে এক শিশু, বগুড়া ও গাইবান্ধায় একজন করে।

 

রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেলে এ বজ্রপাত হয়।  

বাংলানিউজের স্টাফ ও ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টেদের পাঠানো খবর : 

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে দুই বোন ও এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সবাই খেয়াপারের জন্য ঘাটে অপেক্ষায় ছিলেন।

নিহতরা হলেন- হোমনা উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৭) ও জাকিয়া বেগম (২৩)। তারা সম্পর্কে দুজন সহোদর বোন। অপর ব্যক্তি একই উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের খোদেদাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২)।  

নিহত রাশেদুল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ জেলায় বজ্রপাতে দুইজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার আড়মুখি ও শৈলকূপা উপজেলার শেখরা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে আড়মুখি গ্রামের কৃষক শিমুল বিশ্বাস বাড়ির পাশের মাঠে নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে অন্যদের সঙ্গে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান শিমুল বিশ্বাস।

অপরদিকে, শৈলকূপা উপজেলার শেখরা গ্রামের কৃষক হুরমত শেখ বাড়ির পাশের মাঠে কাজ করার সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে তিনিও বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু ওয়াসিম (১০) কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের দিলা মিয়ার ছেলে।

জানা যায়- দুপুরে বৃষ্টির সময় মাঠে খেলছিল ওয়াসিম। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হয় সে। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন।

বগুড়ার গাবতলীতে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু  হয়েছে।

রোববার দুপুরে গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম শেফালি বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী।  

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই শেফালি বেগম বাড়ির পাশে ইছামতী নদীর তীরে তীরমোহনী মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দি চরে বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।  

রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি চরে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত আব্দুল আজিজ হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন আব্দুল আজিজ। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। তাদের সম্ভাব্য আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।