দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বিস্ফোরক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে খনি থেকে পাথর উৎপাদন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে খনির উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পাথর উৎপাদন ও খনি উন্নয়ন কাজে অতি প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদা মতো সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় খনির পাথর উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র মতে, পাথর উত্তোলন ও উন্নয়ন কাজের জন্য বিস্ফোরক একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) এই বিস্ফোরক দ্রব্য সময়মত সরবরাহ করতে না পারার ফলে বেশ কয়েকবার খনির পাথর উত্তোলন ও উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
খনি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিস্ফোরক সংকটের কারণে খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাবে। পাথর খনির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এলাকার আর্থ সামজিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করতে অনেক দেরি হলে খনি উন্নয়ন এবং উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজ এবং যন্ত্রাংশ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বলে খনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন। মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলনের ধারা বজায় রাখতে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে পাথর খনির কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন খনি এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি এমজিএমসিএল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডিএম জোবায়েদ হোসেন দাবি করেন, খনির বিস্ফোরক দ্রব্য বেনাপোল স্থলবন্দরে এসেছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে চলে আসবে।
আরএ