কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে ডাক্তার সুমাইয়া (৩৩) ও তার মা সালমা আহমেদ (৬০) মারা যান।
রামু হাইওয়ে থানার ওসি নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের স্বপ্নতরী বিনোদন কেন্দ্রের সামনে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সালমা আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার ইয়াসিন আহমেদ (৩৪)। হাসপাতালে মারা যায় ইয়াসিন আহমেদের তিন বছরের ছেলে ইয়াজান। নিহতরা ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীতে বসবাস করতেন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।
রামু হাইওয়ে থানার ওসি নাছির উদ্দিন জানান, মারশা পরিবহন সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে শিশুটি মারা যায়। বাকিদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জেএইচ