যশোর: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, বিএনপি কোনো বায়বীয় আশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।
তিনি বলেছেন, গত ১৬ বছর বিএনপি রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। সুচিন্তিত শিক্ষাব্যবস্থাই একটি রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যেতে পারে। শিক্ষকরা ছাড়া দেশ-জাতির পরিবর্তন কখনোই সম্ভব না।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে সমমনা শিক্ষক জোট যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন নার্গিস বেগম।
রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার আলোকে জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির (বাকশিস) যশোর জেলার সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন।
সেমিনারে প্রধান আলোচক বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক দল কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করেন। তিনি সর্বত্র গণশিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। নিরক্ষরতা দূর করতে গ্রহণ করেছিলেন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযাত্রী হিসেবে শিক্ষক সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকদের শিরদাঁড়া শক্ত করে রাখতে হবে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত শিক্ষক সমাজকে জাতির আলোকবর্তিকা উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে নামিয়েছিলেন। তাদের দিয়ে নির্বাচনে ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মেরে বাক্সে ঢুকাতে বাধ্য করেছিলেন। ভোট ডাকাতির মতো একটি জঘন্য কাজে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করেছিলেন। সেই শিক্ষকদের শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ে কতটুকু দাগ কাটবে সেটিই ভাববার বিষয়।
সেমিনার পরিচালনা করেন বাকশিস যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান।
এসআরএস
