ঢাকা, শনিবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৪ জুন ২০২৫, ১৭ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার টালবাহানা করছে: আমিনুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৩, জুন ১৩, ২০২৫
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার টালবাহানা করছে: আমিনুল বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।

গত ১৭ বছর স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনের কথা শুনলে যেমন করে টালবাহানা করত, অন্তর্বর্তী সরকারকেও দেখছি তেমন করে টালবাহানা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর পল্লি মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

আমিনুল হক বলেন, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল এবং দেশের মানুষের চাওয়া আগামী ডিসেম্বরের ভেতরেই নির্বাচন হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বারবার আহ্বান করেছি, দ্রুত সময়ের ভেতরে একটি নির্বাচন দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় গত ১৭ বছর স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনের কথা শুনলে যেমন টালবাহানা করেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারকেও দেখছি তেমন টালবাহানা করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফরে একটি দল ছাড়া আর কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু একাই নির্বাচন চায় না, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও সুশীল সমাজ এবং এ দেশের সাধারণ মানুষ সবাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।

সাবেক জাতীয় দলের এই ফুটবলার বলেন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই জনগণের সরকারই পারবে একমাত্র পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার, শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার এবং আওয়ামী প্রেতাত্মাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক বলেন, গত ১৭ বছর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। মানুষ তার নাগরিক অধিকার-ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। এ দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনের জন্য এ দেশের মানুষ এখন অপেক্ষা করছে।

আমিনুল হক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু সংস্কার করেছিলেন। আজকে যে সংস্কার সেটা হচ্ছে, স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলীয় ও রাজনীতিকরণ করার কারণে। জিয়াউর রহমান সেই সময়ে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে সংস্কারের ধারাবাহিকতায় ১৯ দফার কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আজকের রাজনৈতিক কঠিন সময়ে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার কর্মপরিকল্পনা দিয়েছেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষ তার পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তিনি যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন-আমরাও ঠিক একইভাবে এই দেশের মানুষের পাশে থেকে এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী।

বক্তব্য দেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম মফিজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বশির আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জিতু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি আজহারুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।