পিরোজপুরের নাজিরপুরে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে সরকারি কলেজে স্ত্রীকে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী ও এক কলেজ অধ্যক্ষসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩ জুন) জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ২০১০ সালে নাজিরপুর উপজেলা সদরের হাসপাতাল সংলগ্ন খাস জমিতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য হিসেবে তার স্ত্রী এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, লায়লা পারভীনের এসএসসি ও এইচএসসি পাসের সনদপত্র ভুয়া, তবুও এমপি আউয়াল প্রভাব খাটিয়ে তাকে চাকরি দেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ার পর ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত লায়লা পারভীন বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন। অবৈধ এই নিয়োগ ও বেতন উত্তোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদার বলেন, তিনি তখন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তবে তখন এমপি পত্মী লায়লা পারভীনের সনদ ভুয়া-এমন কোনো অভিযোগ পাননি।
এর আগে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সরকারি জমি দখলের অভিযোগে এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৮ মে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ’ ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, রাস্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৮ মে ‘সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের’ নাম পরিবর্তন করে ‘নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ’ ঘোষণা করা হয়।
এসআরএস