গাজীপুর: ঈদুল আজহা উপলক্ষে যানজট নিরসনে গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ-সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (৪ জুন) দুপুর পর্যন্ত মহাসড়ক দুটি ফাঁকা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার বিকেল থেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করবে পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। এতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাড়িফেরা মানুষের চাপ বেড়ে যায়। ফলে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে ওইসব মানুষ। মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মহাসড়ক দুটির মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। সকাল থেকেই মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গত ২/৩ দিনে মহাসড়কের চিত্র দেখে এই যাত্রায় বাড়িফেরা মানুষ ভোগান্তির শঙ্কায় ছিল। তবে মহাসড়কে সেনাবাহিনী অবস্থান দেখে তা অনেকটা কেটে গেছে। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা মনে করছেন।
আলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, গত দুইদিন আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। মোডে মোড়ে ছিল ভয়াবহ যানজট। মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক ছাড়া তেমন কোন যানবাহন দেখাই যায়নি। এসব যানবাহনের কারণেই সব সময় মহাসড়কে লেগে থাকে যানজট। বুধবার সকাল থেকে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে যানজট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। দেখে মনে হচ্ছে ঈদযাত্রা মানুষের স্বস্তিদায়ক হবে।
গাজীপুরের নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফাঁকা। তবে বিকেল থেকে বাড়িফেরা মানুষের চাপ বাড়তে থাকবে। মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে চন্দ্রা মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশা করছি, মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।
এদিকে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, বিকেল থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করবে। এ উপলক্ষে মহাসড়কে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি, মানুষ শতভাগ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।
আরএস/এএটি