মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক প্রদীপ বৈদ্য’র মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রদীপ বৈদ্য শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সোমবার (২ জুন) মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৮টায় কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ইরানী থানার রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৮৫২ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন প্রদীপ বৈদ্য। ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহত এই তরুণের মরদেহ হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জয়নুল ইসলাম বলেন, বিএসএফের গুলিতে প্রদীপ মারা গেছে বলে জানা গেছে। নিহত প্রদীপ খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার বড়ভাই জয়ন্ত বৈদ্যকে নিয়ে সোমবার (২ জুন) চাতলাপুর স্থলবন্দরে কুলাউড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ গ্রহণ করি। প্রদীপ কোনো রকম চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল না। নিরীহ তরুণকে সীমান্তে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পুলিশ সোমবার (২ জুন) কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে প্রদীপের মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবি ৪৬ শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের সিও লে. কর্নেল জাকারিয়া জানান, এ ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিবি/আরএ