ঢাকা, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সাবেক মেয়রসহ আ.লীগের ২৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৭, মে ৩১, ২০২৫
সাবেক মেয়রসহ আ.লীগের ২৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা

বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের সহিংস হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  

দীর্ঘ নয় বছর পর গত ২৭ মে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার নম্বর ১৭। এটি দায়ের করেছেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির মল্লিকের ছোট ভাই মো. রিয়াজুল কবির বাবু। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার হোসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান খান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাদিম হাওলাদার, যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মো. শাহ আলম রুবেল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রাব্বি হাওলাদার।

এছাড়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাধিক সাবেক নেতাসহ মোট ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী রিয়াজুল কবির বাবু অভিযোগ করেন, আমার ভাই হুমায়ুন কবির মল্লিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম গোলাম কবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের নির্বাচনী অফিস ও বাড়িতে অস্ত্রসহ হামলা চালান। তারা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। পুলিশ তখন মামলা নেয়নি, বরং ঘটনা আড়াল করতে কাজ করে। সরকার পরিবর্তনের পর আমরা ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করেছি।

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর দুপুরের পর বেতাগী শহরের স্টেশন রোডে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে আসামিরা দাহ্য পদার্থ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। অফিসে ঢুকে তারা চেয়ার-টেবিল-আলমিরা ভাঙচুরের পর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে হুমায়ুন কবির মল্লিকের বাসায় গিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুট করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির মল্লিক বলেন, আমার জয় তখন প্রায় নিশ্চিত ছিল। প্রতিপক্ষ পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। দীর্ঘদিন পর আজ আমরা আশাবাদী, দোষীদের শাস্তি হবে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, এই মামলাটি শুধু একটি বিচারপ্রক্রিয়া নয়, এটি রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পদক্ষেপ। এটি বিরোধী দলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশে চালানো সহিংসতার বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।