পরিবেশ বন, জলবায়ু ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেছেন, উজানের অনেক কিছুর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। উজানে বাঁধ দিয়ে আমাদের পানি প্রবাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখল, দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো করে যাওয়ার সময় আমরা পাব না। তাই আপাতত দেশের ৮টি বিভাগে একটি করে ও কক্সবাজারে একটি এবং ঢাকায় ৪টি নদীর বাজেট প্রণয়ন করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াল নদী অববাহিকার পানি প্রবাহ ও আটঘরিয়া রেগুলেটর পরিদর্শন কালে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহম্মদ মোবাশেরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বিএডিসির কর্মকর্তারা।
সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, গত ৫৩ থেকে ৫৪ বছরে দেশে আমরা নদীকে যেভাবে দখল করে, দূষণ করে নষ্ট করেছি, সেগুলো এক-দেড় বছরের সরকারের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে অবকাঠামো দিয়ে, এক ধরনের জেদ করে আমরা যে ক্ষতিটা করেছি তা এই সময়ে সমাধান করা সম্ভব নয়, তবে রূপরেখা করে যাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি এসব সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ইটভাটার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে প্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। পার্বত্য এলাকায় কোনো ইটভাটা করতে দেওয়া হবে না। ঢাকার বাতাস বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস। এজন্য ঢাকাকে নো ব্রিকসফিল্ড জোন ঘোষণা করা হবে। এজন্য বিকল্প ইট উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে কিছুই করা হয়নি বলে যোগ করেন তিনি।
পরে তিনি স্থানীয় লোকজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি কর্মকতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আরএ