মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৫ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শুরু হয় এই বিচারিক কার্যক্রম।
৫ম দিনে মাগুরা সদর হাসপাতালের দুইজন নার্স ও ঢাকা মেডিকেলের একজন চিকিৎসক ও হিটু শেখের এক প্রতিবেশী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার (৫ মে) গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
এর আগে সকালেই ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মাগুরায় আনা হয় হিটু শেখসহ সব আসামিকে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরাতে চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আজকে পঞ্চম দিনের মত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলার চারজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়েছে। দুই স্টাফ নার্স, একজন মেডিকেল অফিসার এবং একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেছেন। আদালত আগামীকাল পুনরায় বাকি ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই মামলার সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ পর্যন্ত ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝিতে এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় হতে পারে।
রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।
ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়।
এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।
আরএ