ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

প্রতিদিন ৭০০ মানুষকে ইফতার করান ফেনী পৌরমেয়র স্বপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
প্রতিদিন ৭০০ মানুষকে ইফতার করান ফেনী পৌরমেয়র স্বপন

ফেনী: ফেনী পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর ব্যক্তিগত ও পৌরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন ইফতার করছেন ৭ শতাধিক মানুষ। মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোজাদারের জন্য তৈরি করা হয় ইফতার।

 এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয় আরও ২০০ মানুষের ইফতার।  

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে, তার এলাকা ও বিভিন্ন মসজিদে বিতরণ করা হয় এসব ইফতার।  

রোজায় প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ছয়লেন উড়াল সেতুর এক পাশে রোজাদারদের জন্য অপেক্ষা করেন ফেনী পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর লোক। সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়িচালক ও যাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয় ইফতার। প্রতিদিন এখানেই বিতরণ হয় তিন শতাধিক প্যাকেট ইফতার। বাকি ইফতারের প্যাকেটগুলো বিতরণ হয় বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা, এলাকার অসহায়দের মধ্যে।

মেয়র জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ইফতারের এ আয়োজন প্রতিবছরের ন্যায় শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

ইফতারে পূর্ব মুহূর্তে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই মহিপাল ফ্লাইওভারের পূর্ব অংশের সড়কে ইফতারের থলে নিয়ে রোজাদারদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন মেয়রের স্বেচ্ছাসেবক টিম। বিভিন্ন গাড়ির চালক ও পথচারী ও যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নানা পদের ইফতারের প্যাকেট ও পানির বোতল। এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয় আরও ২০০ মানুষের ইফতার। পৌরসভা প্রাঙ্গণ ও ট্রাংক রোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গরিব ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয় এসব ইফতার প্যাকেট।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, রোজাদারদের ইফতার করানো সাওয়াবের কাজ। সেই চিন্তা থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ক্ষুদ্র আয়োজন।

তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পাশেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। প্রতিদিন এই পথে অসংখ্য যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীরা ইফতার করতে অসুবিধায় পড়েন। তাদের কথা চিন্তা করে বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করে আসছি। যে কেউ চাইলে আমার কার্যালয়ের সামনে বসে ইফতার করতে পারবেন। যারা নিতে চায় তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে।

মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, সমাজের সব বিত্তবানরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন তাহলে কোন রোজাদার ইফতারের সময় অভুক্ত থাকবে না।

স্থানীয়রা জানান, মেয়র হওয়ার আগ থেকেই গত কয়েক বছর ধরে তিনি মহাসড়কে যাতায়াতকারী রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন। এছাড়াও পৌর এলাকার কর্মহীন মানুষদের সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। শহরের সবক’টি মসজিদের সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য পানির ট্যাঙ্কের ব্যবস্থাও করেছেন মেয়র।

ইফতার বিতরণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাঈন উদ্দিন সুমন বলেন, মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ভাইয়ের অর্থায়নে প্রতিদিন রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীদের মধ্যে ইফতারী বিতরণ করা হয়। সড়কে যাতায়াতকারীরা মেয়রের এ ইফতার পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছেন।

মহাসড়কের এক ট্রাকচালক বলেন, মহাসড়কের পাশে বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসায় মত্ত থাকে। এক গ্লাস পানিও বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। সেখানে ভিন্ন চিত্র ফেনীর মহিপালের এই জায়গার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে রোজাদারদের ইফতার করানো হয়। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যাত্রা অবস্থায় থাকা মানুষগুলো ইফতার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। ফেনীর মেয়রের এমন উদ্যোগের কারণে সেসব মানুষগুলো উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।