ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

মাঈনুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
মাঈনুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন মানববন্ধনে অংশ নেন অনেক প্রবাসী

বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চ ও ‘ক্যাম্পেইন টু এক্সট্রাডাইট কনভিক্টেড ওয়ার ক্রিমিনাল চৌধুরী মাঈনুদ্দিন টু বাংলাদেশ’

লন্ডন: বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চ ও ‘ক্যাম্পেইন টু এক্সট্রাডাইট কনভিক্টেড ওয়ার ক্রিমিনাল চৌধুরী মাঈনুদ্দিন টু বাংলাদেশ’।

 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এ মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বরাবরে স্মারকলিপিও দেন সংগঠনগুলোর নেতারা।

চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম মানববন্ধন চলাকালে প্রতীক অনশনও করেন।

মানববন্ধন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ট্রাফলগার স্কোয়ারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।

কর্মসূচি দু’টিতে বক্তব্য দেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আনসার আহমেদ উল্লা, যুক্তরাজ্য শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, গণজাগরণ মঞ্চের যুক্তরাজ্য শাখার মুখপাত্র অজন্তা দেব রায় ও সমন্বয়ক কামরুল হাসান তুষার।

অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক সুলতান শরীফ।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বরাবরে পাঠানো স্মারকলিপিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে শাস্তিভোগের জন্য বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘বিশ্ববাসীর কাছে সভ্যতার প্রতীক ব্রিটিশ সোসাইটিতে একজন দণ্ডিত ঘাতক যুদ্ধাপরাধী সদর্পে ঘুরে বেড়াবেন- এ লজ্জাজনক অবস্থান মেনে নেওয়া যায় না’।

‘ব্রিটেন কখনও একজন যুদ্ধাপরাধীর নিরাপদ স্বর্গ হতে পারে না। আবু কাতাদাকে যদি ব্রিটেন থেকে বের করে দেওয়া যায়, তাহলে চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে কেন নয়?’ এমন প্রশ্ন তুলে স্মারকলিপিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়, ‘আমাদের হত্যা করার আগে দয়া করে জেগে উঠুন। যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে ব্রিটেনকে নিরাপদ করুন’।

‘এই যুদ্ধাপরাধী ব্রিটিশ সমাজে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী মতবাদ প্রচারের আর কতো সুযোগ পাবেন’- স্মারকলিপিতে এমন প্রশ্নও করা হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।

কুখ্যাত এই গণহত্যাকারী কিভাবে ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়ে ব্রিটিশ সমাজের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন- তা তদন্ত করারও আহ্বান জানানো হয় থেরেসা মে'র প্রতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এসএপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।