নিউইয়র্ক থেকে: নিউইয়র্কে মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা) উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন, স্থানীয় সময় বিকেলে) মুনার ব্রুকলিন ইস্ট চ্যাপ্টারের ব্যবস্থাপনায় এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মুনার ব্রুকলিন ইস্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি মুহতাসিম সিরাজী এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি নায়েব আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন।
প্রধান আলোচক হিসেবে তাফসির পেশ করেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ইসলামিক স্কলার মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান। বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন মাওলানা ফখরুদ্দীন। এছাড়া বক্তব্য দেন মুনার ন্যাশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হাফেজ আবদুল্লাহ আল আরিফ, প্রফেসর ড. রুহুল আমিন, বায়তুল মামুর মসজিদের সহ-সভাপতি মোশাররফ মাওলা সুজনসহ অনেকে।
ইমাম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, নবী করিম (সা.) রসুল হওয়ার আগেও আরবের মানুষের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন দ্বীনের দাওয়াতি কাজ শুরু করেন, তখনই তাকে আঘাত করা হয়, পাগল বলা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে হিজরত করতে হয়। আজ আমরা নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, কিন্তু দ্বীনের দাওয়াত দিই না। তাই আমাদের ওপর কোনো আঘাত আসে না। অথচ জান্নাতে যেতে হলে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা ফরজ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। চাইলেই কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। আমেরিকায় বসবাসকারী ২০ শতাংশ মুসলিম নিয়মিত নামাজ পড়েন না। তারা কর্মজীবনকে বেশি প্রাধান্য দেন। ধর্মীয় বিধি-বিধান না মানার কারণেই অনেক পরিবারে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। সম্পদ কখনো প্রকৃত শান্তি দিতে পারে না।
মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের জীবন, মরণ—সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সা’দ ইবনে মুআজ (রা.)-এর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল। সত্তর হাজার ফেরেশতা তার রূহ বহন করেছিল। আমাদের তেমন জীবন গঠন করতে হবে যাতে মৃত্যুর পরও আসমান কাঁপে।
তিনি কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অনেক মুমিন রয়েছেন যারা আল্লাহর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। সুতরাং যারা বলে, আল্লাহ আমার রব এবং সে কথার ওপর অটল থাকে, তাদের জন্য কোনো ভয় নেই। তাদের সফলতা দুনিয়া ও আখিরাতে নিশ্চিত। আমাদের প্রত্যেককে একজন দায়ী হিসেবে জীবন গড়তে হবে।
হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তিনি ১০টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তার পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ তাকে মুসলিম জাতির ইমাম বানান। আমরা যদি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মতো একজন সত্যিকারের দায়ী হতে পারি, তাহলে আমেরিকার মাটিতেও ইসলাম বিজয়ী হতে পারে। কালেমার পতাকা উড়বে, ইনশাআল্লাহ।
এসআই