
মতিউর রহমান নিজামী
ঢাকা: ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীকে সহায়তার জন্য এ দেশীয় বিভিন্ন ইসলামিক দল গড়ে তোলে আল বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনী।
এর মধ্যে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ‘আল বদর’ বাহিনী গড়ে তোলে। পাকিস্তানি আর্মির পক্ষ থেকে এ বাহিনীর সদস্যদের মাথাপিছু মাসিক ৯০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হতো।
এমনি তথ্য রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও আল বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে দেওয়া ফাঁসির রায়ে।
রায়ে বলা হয়, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি লেখক সেলিম মনসুর খালেদ এর ‘আল বদর’ নামক একটি বই লাহোর থেকে প্রকাশিত হয়।
বইয়ের ১২৯-১৩১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আল বদর বাহিনীকে পাকিস্তান আর্মি মনস্তাত্ত্বিক ও সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো। এবং বদর বাহিনীর সদস্যদের মাথাপিছু মাসিক ৯০ টাকা হারে দেওয়া হতো।
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৪ সালে আমেরিকা থেকে সাঈদ ভালী রেজা নসর এর ‘ভ্যানগার্ড অব দ্যা ইসলামিক রেভ্যুলেশন’ নামের একটি বই প্রকাশিত হয়।
ওই বইয়ের ৯৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়, ইসলামী জামাত-ই-তালেবা ১৯৭১ সালের মে মাসে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাকিস্তান আর্মিকে সহায়তার জন্য আল বদর ও আল শামস নামের দুটি (আধাসামরিক বাহিনী) সংগঠন গড়ে তোলে। আর মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন এ সংগঠনের প্রধান।
এছাড়াও দ্য ইকোনোমিস্ট পত্রিকার সংবাদসূত্রও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
২০১০ সালের ১ জুলাই দ্য ইকোনোমিস্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও আল বদর বাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। ওতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের অনেক ইসলামিক পার্টি পাকিস্তান আর্মিকে সহায়তা করেছিলো। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী অর্ন্তভুক্ত। তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘ ‘আল বদর’ নামের একটি বাহিনী গড়ে তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১,২০১৪