ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ শুরু

ঢাকা: নির্মাণধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে রূপপুর প্রকল্প সাইটে অবস্থিত ট্রেনিং সেন্টারে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে দুইটি গ্রুপ প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেছে।



১৯ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং রোসাটম মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রেনিং সেন্টারটিতে ৫০টির অধিক গ্রুপকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে আনুমানিক ৪ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কোর্স অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিটি কোর্সের স্থায়িত্ব হবে ২-৬ সপ্তাহ, যাতে থাকবে থিওরেটিক্যাল, প্র্যাকটিক্যাল এবং রূপপুর প্রকল্পে অন-জব ট্রেনিং।

বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি এবং রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেবেন। জেনারেল কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী রাশিয়া ১ হাজার ১শ ৯জন বাংলাদেশিকে কয়েকটি ধাপে প্রশিক্ষণ দেবে।

এছাড়াও রিজার্ভ স্টাফ হিসেবে প্রশিক্ষণ পাবেন আরো ৩০৫ জন। রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ লাভ করবেন ৮৫০ জন, এবং বাকিরা রুশ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন রাশিয়ার নভোভারোনেঝ এনপিপির বিশেষজ্ঞরা।

নভোভারোনেঝ এনপিপি বাংলাদেশের রূপপুর এনপিপির রেফারেন্স প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। সিম্যুলেটর ট্রেনিংয়ের জন্য রূপপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমীর প্রশিক্ষকরা সিস্টেম ডিবাগিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি একজন বিশেষজ্ঞ মো. গোলাম শাহীনুর ইসলাম। তিনি ২০১৮-১৯ সেশনে রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমিতে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি পাওয়ার ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে, এবং প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য ১ হাজার ১শ’র বেশি প্রশিক্ষিত ও দক্ষ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হবে। রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারটি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সময় ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।