ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

তেলের দাম বাড়তেই সিলেটে ফিলিং স্টেশন বন্ধ, সড়ক অবরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
তেলের দাম বাড়তেই সিলেটে ফিলিং স্টেশন বন্ধ, সড়ক অবরোধ তেল না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা, ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: ঘোষণার পর পরই সিলেটে ফিলিং স্টেশনগুলোতে ঘটছে হুলস্থুল কাণ্ড।  

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে দেশে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছৈ।

 

তেলের দাম বাড়ার ঘোষণায় অনেক ফিলিং স্টেশন তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশন তালাবদ্ধ করে সরে পড়েছেন ম্যানেজার ও বিক্রয়কর্মীরা।
 
এদিকে রাত ১২টার আগে কম দামে তেল কিনতে তরিঘরি করে সিলেটের ফিলিং স্টেশনগুলোতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে ভিড় করেন চালকরা।
  
মধ্যরাতে নগর ঘুরে দেখা যায়, নগরের মেন্দিবাগ হক ফিলিং স্টেশন, মিরাবাজার বিরতি ফিলিং স্টেশন, পাঠানটুলা নর্থ ইস্ট ওয়েল ফিলিং স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অন্য সব ক’টি ফিলিং স্টেশনও রাত ১০টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
ভুক্তভোগী মোটরসাইকেলচালকরা বলেন, রাত ৮টা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনও তেলের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। নগরের বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশনের সামনে চালকরা ভিড় করেছিলেন। তেল না পেয়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
 
বিক্ষুব্ধ চালকরা নগরের উপশহর পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ, সুবহানীঘাট ও পাঠানটুলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
 
ভুক্তাভোগী মোটরসাইকেলচালকদের অনেকে জানান, আমরা লাইনে থাকলেও তেল না দিয়ে রাত ১০টা হতেই ম্যানেজার ও সেলম্যানরা ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে চলে যান।   
 
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে বলেন, যারা অবৈধভাবে ফিলিং স্টেশন বন্ধ করেছেন, তাদের তালিকা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হবে। এ আশ্বাসে বিভিন্ন স্থানে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন বিক্ষুব্ধরা।
 
এ বিষয়ে ফিলিং স্টেশন অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী রাত ১২টা ৩৭ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, রাত ১০টায় এমনিতে ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। আর রাত ১২টার পর তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়ে গেছে। এরই মধ্যে তাদের কাছে গেজেট এসে গেছে। এ অবস্থায় রাত ১২টায় ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার কথা হয়। অনেকে দাবি করছেন, ফিলিং স্টেশন খুলে তেল দিতে। কিন্তু বিক্রয়কর্মীরা ডিউটি শেষে যার যার বাড়িঘরে চলে গেছেন। এ অবস্থায় কি করার আছে? তাছাড়া সরকার যে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে তেল বিক্রি করতে হবে।
 
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন কর্তৃক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।  
 
বাংলাদেশ সময়:  ০১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এনইউ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।