ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পারমাণবিক বিদ্যু‍ৎকেন্দ্রের মূল কাজ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
পারমাণবিক বিদ্যু‍ৎকেন্দ্রের মূল কাজ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যু‍ৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে।   

বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে বেলা ১১টায় মূল কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় বক্তব্য দেবেন তিনি৷

এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে (নিউক্লিয়ার নেশন) যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ হবে এ ক্লাবের ৩২তম দেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৫০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু রয়েছে।

রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা(আইএইএ)ও ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিও মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।   বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন আলেক্সি লিখাচেভ, অন্যরা ইতোমধ্যেই চলে এসেছেন৷

প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে।

প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। দু’টি ইউনিট মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট ও পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে টানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

বর্তমানে ২ হাজার ২০০ জন কর্মী কাজ করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে, যাদের মধ্যে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ৪৫০ জন৷ মূল কাজে যুক্ত হবেন ১২ হাজার ৫০০ জন, যাদের  মধ্যে রাশিয়ার থাকবেন ২ হাজার ৫০০ জন৷
 
প্রকল্পটির আওতায় ভবিষ্যতে আরও দু’টি ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে প্রয়োজনীয় জায়গায়ও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
 
মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে৷ প্রস্তুতি তদারকিতে গত  সোমবার (২৭ নভেম্বর) থেকে রূপপুরে অবস্থান করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান৷

স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো বড় কাজ আর হয়নি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ করবে। এটি আমাদের জন্য মাইলফলক অর্জন। প্রকল্প বাস্তবায়নের সব প্রস্তুতিও গুছিয়ে আনা হয়েছে। কংক্রিট ঢালাই শুরুর পর থেকে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে, আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো’।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।