ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি/ছবি: দীপু

ঢাকা: দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) ও চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেডের (চায়না এনার্জি) মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়িত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে এএসপিএল’র পক্ষ থেকে কোম্পানির ব্যবস্থাপক পরিচালক এএমএম সাজ্জাদুর রহমান এবং এনার্জি চায়নার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট মি. ডং বিন এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।  

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেমের মাস্টার প্লান ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৯-২০ এর মধ্যে ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট  বিদ্যুৎ  উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবানের অংশ হিসেবে এপিএসসিএল পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি নির্ভর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়নে সরকারি অনুমোদনের পেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ৯৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক, গ্যাসভিত্তিক, তাপ বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ সহ সব দিক থেকে বিদ্যুৎ গ্রেডে আসবে তার জন্য জাতীয় গ্রিডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। যার কাজ শুরু হবে আগামী মাস থেকে। এরমধ্যে জাতীয় গ্রিডের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু করা হবে।  

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পে জয়েন ভেঞ্চার কোম্পানি আগামী ২০২১ এর মধ্যে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ও ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।