ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পাথরঘাটা পল্লীবিদ্যুতের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
পাথরঘাটা পল্লীবিদ্যুতের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

পাথরঘাটা(বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা পল্লীবিদ্যুতের বিরুদ্ধে বরফ কলে পাওয়ার ফ্যাক্টর (পিএফ) নিয়মিত পরিমাপ না করে ভুতুড়ে জরিমানা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

পাথরঘাটার মাস্টার আইস ফ্যাক্টরি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিএফ ওয়েট নির্দিষ্ট মানের চেয়ে ১০ ভাগ কম থাকার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।



ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১২ সালে একবার ওই প্রতিষ্ঠানের পিএফ পরিমাপ করা হয়েছিল। তখন পিএফ ওয়েট ৯৬ভাগ ছিল বলে পল্লীবিদ্যুতের পরিমাপ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আর ওই প্রতিষ্ঠানের পিএফ পরিমাপ করেনি। তবে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফের ওই প্রতিষ্ঠানের পিএফ পরিমাপ করে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তখন নির্দিষ্ট মানের চেয়ে ১০ভাগ কম পাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে দু’দফায় ৪৮ হাজার ৩৪৯ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ মে মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস সরেজমিন পিএফ (পাওয়ার ফ্যাক্টর) ওয়েট পরিমাপ করে ৯৭ ভাগ পায়। যা কাম্যমানের চেয়ে ২ভাগ বেশি। দুইবছর পিএফ (পাওয়ার ফ্যাক্টর) পরিমাপ না করে সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মাস্টার আইস ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে গত ২ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়েছে পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস।

ওই ফ্যাক্টরির মালিক সেলিম রেজি সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন।

তার অভিযোগ, ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তার বরফ কলের পিএফ (পাওয়ার ফ্যাক্টর) সরেজমিন এসে পরিমাপ না করেই শুধুমাত্র অনুমান নির্ভর ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৬ টাকা ভুতুড়ে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। ভুতুড়ে জরিমানার প্রতিকার চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর একটি আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার বরফ কল কখনও বন্ধ ছিল না।

এ বিষয় পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম সরোয়ার মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ৬ মাস পরপর পিএফ (পাওয়ার ফ্যাক্টর) পরিমাপ করার নিয়ম। ২০১২ সালের পরিমাপের ৬ মাস পর পরিমাপ করতে গিয়ে আমরা ওই ফ্যাক্টরি বন্ধ পাই। এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিমাপ করে পিএফ সঠিক না পাওয়ায় ২০১৩ ও ১৪ সালেও পিএফ (পাওয়ার ফ্যাক্টর) সঠিক ছিল না ধরে নিয়ে এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।