ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আশুগঞ্জ পাওয়ার

বিনিময় ছয় মিলিয়ন, তদন্ত কমিটি গঠন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
বিনিময় ছয় মিলিয়ন, তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাকা: আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন  মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি গঠন সংক্রান্ত্র এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।



কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সদ্যস্য আরস্তু খানকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভর্নর (গভর্নর মনোনীত  করবেন)।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহিবুল হক (এপিডি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এপিএসসিএলে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৬ মিলিয়ন ডলার উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২ মিলিয়ন ডলার সানফ্রানসিসকো শহরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়। এই সংক্রান্ত একটি সংবাদ বাংলানিউজ ও দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত হয় সোমবার (২৫ মে)।

পরে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় বিদ্যুৎ বিভাগে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয় সোমবারেই।

বিদ্যু জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, প্রকাশিত খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
জানা গেছে, এপিসিএলের ৪৫০ মেগাওয়াট সাউথ পাওয়ার প্লান্টের জন্য হেজিং পদ্ধতিতে এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে। যার জন্য সাড়ে তিন শতাংশ হারে সুদ গুণতে হবে বাংলাদেশকে।
 
অন্যদিকে, একই ঋণ লাইবর পদ্ধতিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল। লাইবর পদ্ধতিতে সুদের হার দশমিক চার শতাংশ বিরাজ করছে। ১৯৯৯ সাল থেকেই নিম্নমুখী এই সুদের সূচক।
 
অভিযোগ উঠেছে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে গোপন লেনদেন করা হয়েছে। সানফ্রান্সিসকো শহরের ‘ওয়েলস ফারগো’ ব্যাংকের একটি শাখায় এপিএসসিএলের সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ছেলে মাহফুজ আলমের ব্যাংক হিসেবে মাধ্যমে এই লেনদেন হয়েছে।

স্পেনের একটি ব্যাংক থেকে দুই মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করা হয়েছে। আশুগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিটটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে একটি স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান। সে কারণে সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে।

এছাড়াও নিম্ন দরদাতাদের কাজ না দিয়ে বেশি দরে কাজ দেওয়ার বিষয়েও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

** বিনিময় ছয় মিলিয়ন, দেশের ক্ষতি ৪৫ মিলিয়ন

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
এসআই/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।