ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রপ্তানির সুযোগ রেখে হচ্ছে বিদ্যুৎ আইন

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
রপ্তানির সুযোগ রেখে হচ্ছে বিদ্যুৎ আইন ছবি : ফাইল ফটো

ঢাকা: রপ্তানির সুযোগ, ট্রেড ইউনিয়ন রোহিত ও নাশকতায় মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইন-২০১৫’র খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

খসড়া আইনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।

আইনটি পাস হলে ১১০ বছরের পুরনো বিদ্যুৎ আইন অকার্যকর হয়ে যাবে।

বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে খসড়ায়। রপ্তানি ছাড়াও নির্দিষ্ট কোনো কাজে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। এজন্য সরকারি বিদ্যমান বিদ্যুতের বিতরণ লাইন ব্যবহার করার সুযোগ রাখা হয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির।

দু’পক্ষ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম ঠিক করতে পারবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নির্ধারিত মূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছেও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুতের বাজার বা পাওয়ার মার্কেট থাকবে, যেখানে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে কোনো সিঙ্গেল বায়ার বা বিদ্যুৎ ক্রেতা বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে জরুরি হিসেবে গণ্য করে এখাতের সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে শ্রম আইনের বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চারণ ও বিতরণ কাজের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো ধরনের স্থাপনায় জরুরি অবস্থার উদ্ভব হলে, সরকার উক্ত স্থাপনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে।

বিদ্যুৎ সঞ্চালন যাতে নিরাপদ হয় এজন্য স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থায় রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করে, যার ফলে একটি এলাকায় বা সারা দেশের সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার সুপারিশ করা হয়েছে।

খসড়া আইনে বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, সঞ্চালন, বিতরণ ব্যবস্থা, খুঁটি বা অন্যবিধ যন্ত্রপাতি নাশকতার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করলে এ আইনে ছয় মাস কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমান‍ার বিধান রাখা হয়েছে।

নিজের মিটার থেকে অন্য কাউকে সংযোগ দিলে এ অপরাধে ছয় মাস কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নিয়মিত আদালতের পাশাপাশি ২০০৯ সালে প্রণীত ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব অপরাধের বিচারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, ট্রেড ইউনিয়ন রোহিত ও নাশকতার কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১১০ বছর আগের পুরনো বিদ্যুৎ আইন পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়েছে। এখন যেমন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছি, এ বিষয়ে বিদ্যুৎ আইনে কোনো কিছু বলা নেই। তবে নতুন আইনে আমদানি ও ভবিষ্যতে আমাদের বিদ্যুৎ সারপ্লাস হলে রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে।

খসড়া আইনটিতে সবার মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদ হোসাইন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এসআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।