ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সু-খবর আসছে

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪
সু-খবর আসছে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সকাল বিকেল পটকার মতো ফুটছে বিদ্যুতের ওভার লোডেড ট্রান্সফরমার। জুলাই মাসে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডেই ৪ হাজার ৮২৭টি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়েছে।

সারা দেশে ঝুকিঁপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৭৬ হাজার ৪৮৩টি ট্রান্সফরমার।
 
ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের পর মেরামত বা প্রতিস্থাপানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে দু’ধরনের আইন প্রচলিত রয়েছে। এটি বিস্ফোরিত হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে অর্থাৎ পল্লীর গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসুল আদায় করা হয়। আর অন্যান্য বিতরণ সংস্থার (পিডিবি, ডেসকো, ডিপিডিসি) ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলে সংস্থা নিজস্ব তহবিল থেকে মেরামত করে থাকে। এ নিয়ে পল্লীর গ্রাহকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
 
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার মঈন উদ্দীন বাংলানিউজকে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এতদিন গ্রাহককে মাসুল দিতে হলেও খুব শিগগিরই সু-খবর আসছে।
 
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলে নিজস্ব তহবিল থেকে মেরামত অথবা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। ২০ আগস্ট বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপিত হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলেই গ্রাহকদের এই অভিযোগ আর থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন আরইবি চেয়ারম্যান।
 
চেয়ারম্যান জানান, আরইবির সারাদেশে ৬ লাখ ৮০ হাজার ট্রান্সফরমার রয়েছে। ৬ মাস আগেও প্রায় ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ২০ হাজার ওভার লোডেড ট্রান্সফরমার ছিলো। সেখান থেকে কমে এখন ৭৩ হাজারে নেমে এসেছে।
 
দ্রুততার সঙ্গে ওভার লোডেড ট্রান্সফরমার পরিবর্তনের কাজ চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে এই কাজ করা হচ্ছে। একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে প্লানিং কমিশনে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে একসঙ্গে সব ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করা হবে। এতে প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আমরা দ্রুতগতিতে এসব ট্রান্সফরমার পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিমাসে পরিবর্তন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বিতরণ সংস্থাকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
 
আগামী ৪ বছরের মধ্যেই সব ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
 
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, মূলত দু’টি কারণে ট্রান্সফরমার ওভার লোডেড হচ্ছে। একটি হচ্ছে- গ্রাহকরা ঘোষণা না দিয়েই বাসায় বাড়তি ইলেট্রনিক যন্ত্র বসাচ্ছে। অন্যটি হচ্ছে- বিদ্যুৎ বিতরণকারি সংস্থার লোকজন সবকিছু জেনেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন সংযোগ দিচ্ছে। কিন্তু ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলেই পুরো দায় পল্লীর হতদরিদ্র গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।