ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন নেওয়া শুরু ১ মার্চ, পুরনো আবেদনের সিদ্ধান্তও এ মাসেই

হাসান আজাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন নেওয়া শুরু ১ মার্চ, পুরনো আবেদনের সিদ্ধান্তও এ মাসেই

ঢাকা: এপ্রিল থেকে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে মাচের্ই সিদ্ধান্ত নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিকে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন বিদ্যুত সংযোগের জন্য আবেদন গ্রহণ।

মার্চের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগে বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎপাদন ও সরবরাহ বিবেচনায় এনে যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তাহলেই একেবারে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সকল সংস্থার কাছে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়।

বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যারা এরই মধ্যে আবেদন করেছেন তাদের মার্চ থেকে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হবে। ’

তবে এপ্রিল থেকে নতুন সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এপ্রিল থেকে নতুন সংযোগ দেওয়ার। তবে মার্চে একটি মিটিং করবো। তখন বুঝতে পারবো কী পরিমাণ দিতে পারবো।

বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যে সকল গ্রাহকের আবেদন জমা আছে, কিন্তু ডিমান্ড নোট ইস্যু হয়নি, সেই সকল গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা শুরু হবে মার্চ মাসে। এই ক্ষেত্রে মার্চ মাসে ৩০ শতাংশ, এপ্রিল মাসে ৩০ শতাংশ এবং মে মাসে ৪০ শতাংশ ডিমান্ড নোট ইস্যু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  

বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুতের সংযোগের জন্য আবেদন রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৯টি।

এর মধ্যে ডিমান্ড নোট ইস্যুকৃত আবেদন সংখ্যা হচ্ছে ৭১ হাজার ৯৩৯টি। ডিমান্ড নোটের বিপরীতে অর্থ জমা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৯৩৯ টি। আর ডিমান্ড নোট ইস্যু হয়নি এমন আবেদনের সংখ্যা হচ্ছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৬টি।

ডিমান্ড নোটের বিপরীতে অর্থ জমা দেওয়া গ্রাহকদের ৫৮ হাজার ৩৩৯ জনকে এরই মধ্যে সংযোগ প্রদান করা হয়ছে।    ডিমান্ড নোটের অর্থ জমাদানের বিপরীতে সংযোগ বাকি আছে ১১ হাজার ৬শ’টি।

ওই কর্মকর্তা জানান,  নতুন সংযোগ প্রদানে সরকারি আদেশের পর ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর থেকে গত চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ২৮টি , ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ( ডেসকো) ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৯৪টি, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৮৬টি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ হাজার ২০১টি এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৩৯০টি সংযোগ দিয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর এক সরকারি আদেশে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য যারা ডিমান্ড নোটের টাকা পরিশোধ করেছে তাদেরই দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী দুই কিলোওয়াট পর্যন্ত লোড বরাদ্দ প্রাপ্ত গ্রাহককে সোলার প্যানেল বাসানো অনুরোধ জানানোর কথা নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। পাশপাশি আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২ কিলোওয়াট এর বেশি লোড বরাদ্দ প্রাপ্ত গ্রাহকগণকে মোট চাহিদার ৩ শতাংশ, শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৫০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বরাদ্দ প্রাপ্ত গ্রাহকগণকে শুধুমাত্র লাইট ও ফ্যানের লোডের ৭ শতাংশ, ৫০ কিলোওয়াটের উর্ধ্বে লোড বরাদ্দ প্রাপ্ত গ্রাহকরা লাইট ও ফ্যানের ১০ শতাংশ  এবং পোশাক শিল্পের জন্য লাইট ও ফ্যানের লোডের ৫ শতাংশ সোলার প্যানেল বসানোর অনুরোধ জানানো হবে। এই ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল বসানোর পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধান ৩ সদস্যের টিম গঠন করে তদন্তপূর্বক সোলার প্যানেলের আকার নির্ধারণ করবে।

জানা গেছে, সারাদেশে প্রাপ্ত আবেদনের বিপরীতে এক হাজার ৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।