ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে: দুদু

ঢাকা: সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে অপপ্রচার করছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। তার জনপ্রিয়তা খালেদা জিয়ার মতোই আকাশচুম্বি বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম‌্যান শামসুজ্জামান দুদু।

সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অর্পণ বাংলাদেশের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম‌্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

দুদু বলেন, তারেক রহমান স্বাধীন ও গণতন্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। এটা কি তার অপরাধ? তার বাবা স্বাধীনতার ঘোষক, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। তার মা এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এবং তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে এত অপপ্রচার করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। তারেক রহমান এ দেশের মানুষের হৃদয়ে আছেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম‌্যান বলেন, আপনারা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন তত তাড়াতাড়ি এদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

সরকারকে সম্মানজনকভাবে প্রস্থান করার পরামর্শ দিয়ে দুদু বলেন, আমার কাছে মনে হয় না এই সরকারের সময় খুব বেশি দিন আছে। যদি ভালোয় ভালোয় সম্মানের সাথে এই সরকার চলে যায় তাহলে ভালো। তাদের একটাই পথ আছে পদত্যাগ করা, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করা। আগে থেকেই যদি এই কাজটা করে তাহলে সম্মানজনক প্রস্থান হবে। আমরা কাউকে অসম্মান করতে চাই না। কিন্তু সরকার সম্মানিতভাবে না অসম্মানিতভাবে যাবে, এটা তাদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। ৩০ লাখ শহীদের দেশে প্রতারণা করে গুন্ডামি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না।

দুর্নীতিগ্রস্ত ও সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ছাড়া দেশের কোনো মানুষ ভালো নেই দাবি করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। গত ৫০ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে এত খারাপ অবস্থায় কখনো এদেশের মানুষ ছিল না। একমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত, সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ছাড়া শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ কষ্টে আছে—অর্থ সংকটে, নিরাপত্তা সংকটে, শিক্ষা সংকটে আছে সমগ্র দেশের মানুষ।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা যদি সরকারের আসনে না থাকতো, পার্লামেন্ট যদি ভেঙে দেওয়া হতো আর এই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন যদি না থাকে তাহলে এদের পরিণতি কী হবে বলা মুশকিল। কারণ তারা নিজেরাই বলে তারা যদি ক্ষমতায় না থাকতে পারে তাহলে তারা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না!

আওয়ামী লীগ সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন তিনিও টের পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আওয়ামী লীগের আশ্রিত তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও এদেশে থাকতে পারবে না। কেন থাকতে পারবে না? বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছিলেন, আওয়ামী লীগ ছিল। এখন এ প্রশ্ন উঠছে কেন? এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এত অপকর্ম করেছে যে, তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের নিচে মাটি নাই। আর পায়ের নিচে মাটি না থাকলে থাকবেন কেমনে? নিচে নেমে যাবেন তো, এটাই বাস্তবতা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্পণ বাংলাদেশ সংগঠনের সভাপতি বিথিকা বিনতে হোসাইন। আরও বক্তব‌্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস‌্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।