ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

জেলা পরিষদ নির্বাচন, নাসিরকেই ওয়াকওভার!

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
জেলা পরিষদ নির্বাচন, নাসিরকেই ওয়াকওভার! নাসির উদ্দিন খান, ছবি মাহমুদ হোসেন

সিলেট: কার ভাগ্যে জুটছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। এতদিন ছিল সেই আলোচনা।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।  

এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন তিনি।

এবার নতুন আলোচনা- চেয়ারম্যান পদে কারা হচ্ছেন নাসির উদ্দিন খানের প্রতিদ্বন্দ্বী?

নৌকায় মনোনয়ন পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। তারা হলেন-সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী ও বর্তমান প্রশাসক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন।

তবে অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছেন না তারাও। দলীয় প্রার্থীকে ওয়াকওভার দিয়েছেন তারা। এরপর অন্য কোনো দল কিংবা স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী না হলে ওয়াকওভারই পাবেন আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট প্রার্থী। বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।    

এ বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি কোনো দিন সংগঠনের মতের বাইরে যাইনি, বিদ্রোহ করিনি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষেই কাজ করবো। আর মনোনয়ন ফরমে লেখাই আছে, দল যাকে দেবে, তার জন্য কাজ করতে, আমি তাই করবো।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না।

সিলেট জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে নেত্রী ও দলের নির্দেশনাই বড়। জেলার সাধারণ সম্পাদককে দলীয় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।  
আমি তাঁর জন্য কাজ করে যাব। এজন্য জেলা পরিষদের সদস্য পদেও দাঁড়াবো না।  

তবে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হলেও স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রয়াত অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদার। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫৩ ভোট পেয়েছিলেন। এনামুল হক সরদারের এবারও প্রার্থী হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি নির্বাচন করেছি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিনি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতির বিষয়ে আগামী বুধবার (১৪ সেপ্টম্বর) সিদ্ধান্ত নেব।  

গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

মনোনয়ন ওই বোর্ডের সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে বেছে নেয় মনোনয়ন বোর্ড। যে কারণে দলের অন্য প্রার্থীরা তাকে ওয়াকওভার দিয়েছেন।

 বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এনইউ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।