ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ভোলায় গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেফতার দাবি ফখরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
ভোলায় গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেফতার দাবি ফখরুলের

ঢাকা: গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত আবদুর রহিম ও নূরে আলমকে গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা এবং জ্বালানি তেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরমানের নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কী অবস্থা ঘটেছিল যে আপনি তাকে গুলি করলেন। আবদুর রহিম সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছেন। আর, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মাথায় ১৬টা স্প্লিন্টার ঢুকেছে। তিন দিন লড়াই করে তিনিও চলে গেছেন। আরও ১৯জন হাসপাতালে আছেন। আমি এই পুলিশ কর্মকর্তার অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক লাফে ৪০ শতাংশ ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়ে দেশের সর্বনাশ করা হয়েছে। আজকে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে। চাল, তেল, সারের দাম বাড়বে। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাবে। সবকিছু বাড়বে। অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, আরও খারাপের দিকে যাবে। কেন বাড়ালেন, বো হচ্ছে যে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লোকসান করছে। লোকসানে কেন যাবে? ৫ বছর আগে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল। তখন আপনারা কমাননি। এখনো কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের হাছান মাহমুদ সাহেব বললেন, বিশ্বের সব দেশে নাকি তেলের দাম এর চেয়ে বেশি। আমেরিকাতে ১৪ ডলার ছিল, তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে তা তিন ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে তখন তারাও কমায়। অফরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে, আমাদের দেশে তখন বাড়ানো হয়। কারণ তারা যে লুটপাট করে, তারা যে চুরি করে সেই টাকাকে হালাল করার জন্য জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যারা বাইক চালিয়ে সংসার চালায়, তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। ডিজেলের দাম বাড়লে তারা কীভাবে সেচ দেবেন? এতে এই সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না। কারণ জনগণকে তো তাদের দরকার নেই। তাদের আছে পুলিশ বাহিনী, বন্দুক বাহিনী, বিডিআর বাহিনী এই বাহিনী দিয়েই তারা দেশ চালাবে। আর হবে না, এই দেশের মানুষ আর এভাবে দেশ চালাতে দেবে না। রাজনীতি, অর্থনীতি সব ধ্বংস করেছে। সুতরাং এই সরকারকে আর টিকতে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই সংঘবদ্ধ হচ্ছি, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমি আহ্বান জানিয়েছি, আসুন আর নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিভেদ সৃষ্টি না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

কৃষকদল সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোনায়েম মুন্না, কৃষক দল নেতা জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনূর রশীদ, নাসির হায়দার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।