ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান মোশাররফের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
খালেদা জিয়ার মুক্তিতে শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান মোশাররফের ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির আদেশে বিদেশে না যাওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা তুলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আইনের যে ধারায় প্রশাসনিক নির্দেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাাতে লেখা আছে, ‘সাময়িক মুক্ত করা যাবে শর্ত দিয়ে অথবা শর্তহীনভাবে’। জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা থাকলে সেই শর্তটি আপনারা (সরকার) তুলে নেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অনতিবিলম্বে যে বিধি-নিষেধ ও শর্ত আছে, তা তুলে নেন। যাতে খালেদা জিয়া বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেন। কিন্তু সেই শর্ত যদি তুলে না নেন এবং আমাদের নেত্রীর যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আপনাদেরকেই তার দায়- দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু দায়-দায়িত্ব নয়, একদিন এই জনগণের বিচারের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা বুঝে, না বুঝে বলেন যে, খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে হবে। যে আদেশে খালেদা জিয়া সাময়িকভাবে মুক্ত; সেই আদেশে এবং ধারায়ই আপনারা শর্ত দিয়েছেন। একমাত্র আপনারাই সেই শর্ত তুলে নিতে পারেন। প্রশাসনিকভাবেই শর্ত তুলে নিলে খালেদা জিয়া বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেন। অযথা আদালতকে দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ আদালতের নির্দেশে কিন্তু তিনি সাময়িক মুক্ত নন। তাই তারা জেনে-শুনে অথবা অবুঝের মতো না বুঝে এ ধরনের কথা বলে মূলত জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা এবং মেডিক্যাল বোর্ড বারবার সুপারিশ করেছেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সেই চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। তাই খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কেন যেতে পারছেন না? কারণ একটি বানোয়াট মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।