ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ড. কামালকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
ড. কামালকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা গণফোরামের অনুষ্ঠিত বিশেষ কাউন্সিল। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের নবনির্বাচিত সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে।  কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনকে ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়।

পরে ফোরামের সদস্যরা সে প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

শনিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে গণফোরামের অনুষ্ঠিত বিশেষ কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিযুক্ত পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সাবজেক্ট কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পাঠ করেন।  

তিনি বলেন, আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং দেশের মালিক জনগণকে বোঝাতে হবে যে, চলমান দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতির ধারা অব্যাহত থাকলে, ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর নেতিবাচক নির্বাচনী ফ্রন্ট বা জোট গঠন করে অতীতের মত রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু জনগণের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।  

‘তাই জনগনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ বাস্তবায়ন করতে হলে- প্রথমত, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা অর্জন করতে হবে; দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণকে জনগণের কাছে গিয়ে জনগণকে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো সম্পর্কে সচেতন করতে হবে; তৃতীয়ত, অধিকার সচেতন জনগণকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। ’

শফিক উল্লাহ বলেন, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে নিম্নপর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে সুশৃংখল ও শক্তিশালী করতে হবে। সুশৃংখল ও শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়িত নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতির চিরবিদায় করতে হবে এবং কেবল মাত্র তখনই বাংলাদেশের জনগণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে মুক্তি পাবে।

এ সময় ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোস্তাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এর আর জাহাঙ্গীর, নাজমুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।