ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপির রাজনীতি গণতন্ত্র নয়; বুলেট, রক্ত আর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে, এই কারণে তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, সংলাপে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপের আয়োজন করেছেন, এটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্যই রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন। অনেক দেশেই এ ধরনের কোনো সংলাপ হয় না। এই ভালো উদ্যোগকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তার অন্যতম প্রধান কারণ বিএনপি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাওয়াতেও বিশ্বাস করে না। তারা ক্ষমতায় এসেছে বুলেটের মাধ্যমে, রক্তের ওপর, মানুষের লাশের ওপর পা দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছেন এবং মানুষের লাশের ওপরই ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিলেন।

খালেদা জিয়াও চোরাপথে ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের মাধ্যমে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে না, সবসময় চোরাপথ খুঁজে বেড়ায়। জনগণের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। সেজন্যই তারা এই নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে চোরাপথে ক্ষমতায় যেতে পারে, সেটি কখনো হবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গতবারও সংলাপের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেখানে এমন একজন নির্বাচন কমিশনার স্থান পেয়েছিলেন তিনি সবসময়ই বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে কথা বলেন। সুতরাং সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন যে কার্যকর সেটি গতবারও প্রমাণিত হয়েছে। সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি বিচার বিশ্লেষণ করে দেশের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। দেশের সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির চার দশক পূর্তি উপলক্ষে সমিতির সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে অনেক প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালক রয়েছেন। আমি তাদের দেশ ও সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানাই। চলচ্চিত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের জন্য সহজতম ঋণ চালু করেছেন। এককভাবে বা বিপণীকেন্দ্রে সিনেমা হল নির্মাণের জন্য দশ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা চালু হয়েছে, যাতে করে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাথে নিয়ে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি এ উপলক্ষে মন্ত্রী দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন করেন ও কেক কাটেন।

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহীন সুমনের পরিচালনায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সহসভাপতি ছটকু আহমেদ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক শাহীন কবির টুটুল প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।