ঢাকা, শনিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ জুন ২০২৪, ২৩ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ১৫১ পেশাজীবীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ১৫১ পেশাজীবীর

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রামের ১৫১ জন পেশাজীবী।  

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো পরিষদের কার্যকরী সদস্য ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে পেশাজীবীরা বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। জনপ্রিয় এ নেত্রী দেশের ইতিহাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বারবার অধিক সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও কোনো আসনে পরাজিত হননি। তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ একজন নাগরিকের পছন্দমতো চিকিৎসা নেওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি ক্রমাগতভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি মিথ্যা সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া মারাত্মকভাবে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অথচ তিনি হেঁটে হেঁটে আদালত থেকে জেলখানায় গিয়েছিলেন। এর আগেও খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। এমনকি খালেদা জিয়ার পরিবারের লিখিত আবেদনেরও কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে বারবার ন্যায্য অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তিনি আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।

পেশাজীবীরা বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমানভাবে এগিয়ে গেছে। তবে এখনো দেশে বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা এরইমধ্যে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল টিমের প্রধান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়েছেন। দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও খালেদা জিয়া আরোগ্য লাভের পরিবর্তে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমাদের আবেদন, তাকে জরুরিভিত্তিতে মুক্ত করে বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হোক। অন্যথায় চিকিৎসার অভাবে তার কিছু হলে পুরো দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

বিবৃতি দাতারা হলেন- ডা. আবু জাফর, ডা. আবদুল মান্নান, অ্যাডভোকেট মকবুল কাদের চৌধুরী, ডা. আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, অধ্যাপক ডা. আবদুল আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম. ডা. শাহাদাত হোসেন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন. অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. রোকনুজ্জামান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. আব্দুল হানিফ, অ্যাডভোকেট রফিক আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আল আমিন, অ্যাডভোকেট মোরশেদুল আলম, অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শাহনাজ সুলতানা, অ্যাডভোকেট এরফানুল করিম, সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবির ভূঁইয়া, অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার সারোয়ার, ডা. মিয়ান জসিম উদ্দিন, ডা. শাহানা বেগম, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, অধ্যাপক মোশাররফ হোসাইন, ডা. আবদুল মোত্তালিব, অ্যাডভোকেট এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, সাংবাদিক হাসান মুকুল, ডা. জিয়াউদ্দিন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. সুলতান মাহমুদ আকন্দ, অ্যাডভোকেট সোলাইমান হায়দার চৌধুরী, ডা. একেএম জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, ডা. শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন, ডা. রকিব উল্লাহ, ডা. আবদুর রব, অধ্যাপক আবু নাসের, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক সালেহ নোমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ, অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন আরিফ, অধ্যাপক মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী, ডা. রাজীব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী, ডা. মো. ইয়াছিন, অধ্যাপক জহুরুল আলম, ডা. ফয়েজুর রহমান, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, প্রকৌশলী আমিনুর রহমান সুমন, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. খুরশিদ উল আলম টিপু, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মো. জসীম উদ্দীন, প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাসান চৌধুরী, ডা. মো. আইয়ুব, ডা. এ এ রায়হান উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, অধ্যাপক জাফর উল্লাহ তালুকদার, ডা. রাসেল ফরিদ, অ্যাডভোকেট আজিজুল হক, ডা. কাজী মাহবুব আলম, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. সৈয়দ মাহতাব উল ইসলাম, ডা. ফেরদৌস আরা সালমা, অধ্যাপক মো. সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াস হোসেন, অধ্যাপক এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ডা. হোসনে আরা বেগম, ডা. নিয়াজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট গাজী সোলাইমান চৌধুরী, ডা. রিফাত আকতার, ডা. জাহিদ হাসান, ডা. ফজলে রাব্বী শিহাব, লায়ন অহিদুল ইসলাম সিকদার, অ্যাডভোকেট রুনা কাশেম, ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. মিরাজ উল ইসলাম, ডা. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ হাসান, ডা. রাহাত খান, ডা. কাজী শামীম আল মামুন, ডা. ময়নাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আশরাফী বিনতে মোতালেব, নারী নেত্রী আরজু শাহাবুদ্দিন, অ্যাডভোকেট তাপসী তহুরা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ডা. খন্দকার জিয়াউর রহমান, লায়ন সালাউদ্দিন আলী, ডা. ইমরোজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন পারভেজ, ডা. সোয়াইবুল করিম, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার সানজি, ডা. কমর উদ্দিন চৌধুরী, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন, ডা. নুরুল আবছার খান, অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ডা. তানভীর হাবীব তান্না, ডা. রানা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার লাভলু, ডা. মিনহাজুল আলম, অ্যাডভোকেট বিলকিস আরা মিতু, ডা. ইমরান হোসেন, ডা. মাহমুদ আল ফারাবী, ডা. হাসানুল বান্না, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, ডা. মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।