ঢাকা: বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির কারণে সোমবার রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই ছিল তীব্র যানজট। কড়া রোদ আর অসহনীয় গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থেকে নাকাল হয়েছেন নগরবাসী।
বিশেষ করে দুপুরের পর পল্টন ময়দান সংলগ্ন এলাকাগুলোতে যানজট বাড়তে থাকে। ময়দানে পৌঁছতে গিয়ে দৈনিক বাংলার মোড়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে থাকেন।
সেনানিবাসের বাসা থেকে বিকেল চারটায় বের হয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে পল্টন ময়দানে পৌঁছান তিনি।
এদিকে বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যেই পল্টন ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার নিয়ে ও ব্যান্ড বাজিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে জমায়েত হতে থাকে পল্টন ময়দানে।
এতে পল্টন ময়দানের চারপাশের রাস্তাগুলোতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পল্টন থেকে শুরু হওয়া গণমিছিল দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ থামে। এরপর কাকরাইল, শান্তিনগর হয়ে এগিয়ে যায় মগবাজারের দিকে। এ সময় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। গণমিছিল শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরও যান চলাচলে অচলাবস্থা বজায় থাকে।
মিছিল এগিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক কর্মী খালেদা জিয়ার নিশান পেট্রোল গাড়ির চারিপাশে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে রাখেন। রাস্তার দুই পাশে হাজার মানুষ গণমিছিলের এগিয়ে যাওয়া দেখেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। অফ- হোয়াইট শাড়ি পরিহিত খালেদা জিয়াকে দেখতে রাস্তার পাশের বাড়ির ছাদে অনেকেই ভিড় জমান।
সন্ধ্যা সাতটায় মগবাজারে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
এর আগে বেলা ১১/১২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল পল্টন ময়দানে আসতে থাকে। এতে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেলের পর তা অসহনীয় রূপ নেয়।
সদরঘাট-নবাবপুর-গুলিস্তান, সায়েদাবাদ-হাটখোলা-জয়কালি মন্দির, খিলগাঁও-দৈনিকবাংলা, শাহজাহানপুর-কমলাপুর, মগবাজার-মালিবাগ-কাকরাইল, মোহাম্মদপুর-ধানমণ্ডি-নীলক্ষেত, শাহবাগ-তোপখানা-পুরানা পল্টন, কমলাপুর-মতিঝিল সড়কে গাড়ি যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১০