ঢাকা: পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশের নাম মুছে দিতেই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
শনিবার জাতীয় প্রেসকাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নাগরিক ফোরাম’ আয়োজিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিরপক্ষতা: বিরোধী দলকে দমনের অপচেষ্টা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে আওয়ামী লীগ ২০টির বেশি সিট পাবেনা। নিজেদের ভরাডুবি জেনেও আওয়ামী লীগ এটা করছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করা এবং আফগান ও ইরাকের মতো পৃথিবীর মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে দেওয়া। ’
যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলছেন সিমলা চুক্তিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তির কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা যাবে না। অথচ কয়েকজন পাতিমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলছেন। ’
বিএনপির স্থয়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সরকারকে গণতান্ত্রিক আচরণের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি-বিদেশি চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এটি রোধ করতে না পারলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে না। ’
জামায়াত নেতার (মতিউর রহমান নিজামী) সঙ্গে শেখ হাসিনার লংড্রাইভের ছবি মিডিয়ার কাছে আছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘আজ যাদের বিচার করছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন করেছেন তখন বিচারের কথা মনে ছিল না?’
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ এমপি, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩০ ঘণ্টা, ৭ আগস্ট ২০১০