ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩০ মে ২০২৫, ০২ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোট-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তবর্তী সরকার: খন্দকার মোশাররফ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৫, মে ২৮, ২০২৫
ভোট-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তবর্তী সরকার: খন্দকার মোশাররফ  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যারা নির্ধারণ করবে তারাই আজকের তরুণ প্রজন্ম। আর এই বিষয়টি জানান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান।

 

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদল-যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজকের এই দিনে আমরা তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানাবো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা রাখার জন্য।  

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের কী ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আপনারা তা জানেন। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারা ভোগ করতে হয়েছে, তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের একজন কর্মীও বাদ যায় নাই যারা জেল খাটে নাই, মামলার শিকার হয় নাই। আর এই নির্যাতনের শেষ হয়েছে ছাত্র যুবকদের আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন ও সাহস দিয়ে প্রত্যাশা করেছি অতি দ্রুত মানুষের নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু দশ মাস অতিক্রম করছে আমরা দেখছি জনগণের অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোটের অধিকার। আর ভোট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।  

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেন অতি দ্রুত নির্বাচন দরকার। কারণ পতিত সরকার দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার ও মামলার বিষয়টিকে নির্বাচনের সঙ্গে কেন যুক্ত করা হবে।  

খালেদা জিয়া টোয়েন্টি থার্টি (২০৩০) ভিশন ঘোষণা করেছেন এবং তারেক রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরছেন। অর্থাৎ আমরা সংস্কার নিয়ে সব সময় চিন্তা করেছি। কিন্তু সকল সংস্কার এক কথায় করা যাবে না, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের সংস্কার অতি দ্রুত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। না হলে এই ষড়যন্ত্র জনগণকে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন এই নেতা।  

বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ চলছে।  

রাজধানীর নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ব্যানারে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।  

টিএ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।