ঢাকা, সোমবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৬ মে ২০২৫, ২৮ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

তিন উপদেষ্টাকে বহিষ্কার না করলে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে: দুদু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৭, মে ২৫, ২০২৫
তিন উপদেষ্টাকে বহিষ্কার না করলে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে: দুদু রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: ডিএইচ বাদল

তিন উপদেষ্টাকে বহিষ্কার না করলে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলো ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার পতন চেয়েছে একটিমাত্র কারণে, তা হচ্ছে দেশের জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। এটা ছিল গত ১৫ বছরের লড়াই। সেই লড়াইয়ের পরে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। হাসিনার পতন মানে স্বৈরতন্ত্রের পতন। হাসিনার পতন মানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, গণতন্ত্র বিজয় লাভ করেছে। এখন সেই গণতন্ত্র উত্তরণের দরকার, উত্তরণ মানে নির্বাচন।

তিনি বলেন, হাসিনার পতন হয়েছে এখন নির্বাচন দরকার। কিন্তু নির্বাচনের কথা বলাই যেন মনে হচ্ছে অপরাধ। বিএনপি যমুনায় গিয়ে স্পষ্ট করে বলে এসেছে সরকারের স্বচ্ছতার জন্য যারা নতুন পার্টি করেছে তাদের কোনো প্রতিনিধি এ সরকারে থাকতে পারবে না। দুজনের কথা সরাসরি বলেছে। আর একজন আছেন যিনি বাংলাদেশকে বিক্রি করতে চান। ৩০ বছর আগে একজন বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাকে বিদেশ থেকে এনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএনপি তাকেও বহিষ্কারের কথা বলেছে। এই তিনজনকে বহিষ্কার করলে মিনিমাম স্বচ্ছতা আসবে। আর যদি বহিষ্কার করা না হয় তাহলে এই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আপনি প্রমাণ করেছেন এনসিপি আপনার দল। আপনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে; ডেমোক্রেসির জন্য না। আপনি গণতন্ত্র বোঝেন না, এটা আমরা বুঝি। আপনি যদি ওই তিনজন উপদেষ্টা কে বহিষ্কার না করেন; তাহলে আমরা ধরে নেব আপনি একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনার অধীনে ভালো একটি নির্বাচন হবে এটা বিশ্বাস করা আমাদের জন্য কঠিন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন খুব জরুরি। দেশে গণতন্ত্রের জন্য এই সরকারের স্বচ্ছতার জন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে সন্দেহ দূর করেন। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করুন। তা না করলে দেশের যে পরিস্থিতি হবে তার সম্পূর্ণ দায়ভার আপনাকে নিতে হবে। আমরা সরকারের পাশে আছি। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না। আপনি নাহিদের সঙ্গে বসে নিজে নিজে পদত্যাগ চাইবেন - এসব ছেলেমানুষি আপনার মানায় না। আপনি দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যান - এটা আমরা প্রত্যাশা করি।

বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, কৃষকদলের সাবেক দফতর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ প্রমুখ।

ডিএইচবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।