ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

নিবন্ধন পেলে ‘জনতার দলে’ বন্যার মতো মানুষ যোগ দেবে: শামীম কামাল

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২০, মে ১৮, ২০২৫
নিবন্ধন পেলে ‘জনতার দলে’ বন্যার মতো মানুষ যোগ দেবে: শামীম কামাল

ঢাকা: নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’ - এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল বলেছেন, ‘আমাদের দল নিবন্ধন করতে পারলে বন্যার পানির মতো মানুষ আমাদের দলে যোগদান করবেন বলেছেন। ভালো মানুষের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তাদের সংগঠন ডেসওয়া।

ঠিক তেমন ভালো ও সৎ মানুষের দল হবে জনতার দল। ’ 

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মানিকদী টাওয়ার ৭১ এ ‘ডিফেন্স এক্স-সোলজারস্ ওয়েলফেয়ার অ্যাসেসিয়েশন (ডেসওয়া) ট্রাকস্ট বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৫’ -এ তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম কামাল বলেন, অনেকে বলেছেন আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে। আসলে দেরি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর আমলে আমরা এভাবে মিটিং করতে পারতাম না। জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতা আমাদের একটি সুযোগ করে দিয়েছে, তারপরে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। আমরা এখানে সবাই এক শর্তে মিলিত হয়েছি - আমরা সবাই রাজা। এখানে কোন র‍্যাঙ্ক-বিভেদ নেই। আজকে আপনারা অনেকের সামনে বক্তব্য দিয়ে আনন্দ পেয়েছেন। রাজনীতি করতে হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। আমাদের দলে একজন সেনাপ্রধানের পাশে একজন সৈনিক বসার অধিকার রাখে।  

দলের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২২ জুন আমরা দলের নিবন্ধন সাবমিট করতে চাই। এর পরে আমরা সারা দেশে ঘুরে বেড়াব। আপনার শুধু বলবেন, দলে কয়জন জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার, কয়জন মেজর চান, কয়জন জেসিও চান সব খানে গিয়ে আমরা মিটিং করব। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কেউ নেতা হতে চান না। কেউ সামনে আসতে চান না। সুতরাং আমরা আমাদের দলে যোগ্য জায়গায় মানুষদের আনতে পেরেছি।  

জনতার দলের সদস্যরা

জনতা দলের চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে দল করার কথা ছিল নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের। কিন্তু তারা একটি আলাদা দল করেছেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের দলের লোকদের সঙ্গে একটি জায়গায় আমাদের মতের অমিল হচ্ছিল, এজন্য আমরা তাদের সঙ্গে দল করিনি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘২৪ বছর ধরে আমি একটি আন্দোলন করছি কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। কারণ আমি কোনো রাজনৈতিক দল করিনি বলে। ’ তার মানে ভালো কাজের জন্যও রাজনীতি করতে হয়, খারাপ কাজের জন্যও রাজনীতি করতে হয়। আমরা সৈনিক জীবন বাজি রেখে, জীবন বিসর্জন দেওয়ার শপথ করে এসেছি। দেশ ভয়ংকর বিপদে পড়েছে, রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। এখন যদি আমাদের বসে থাকলে কি চলবে? আজকে যারা দলের সঙ্গে যোগদান ও সংহতি প্রকাশ করলেন, এটা আমার জন্য আমানত। আমাদের দায়িত্ব সফল হবে যখন আমরা তৃণমূলে সাপোর্ট পাব।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের টাকা নাই, আমরা পোস্টার, প্রচারণা ও মিটিং করতে পারছি না। আমাদের দল রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে শক্তিশালী হবে। আশা করছি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে আমাদের। এ বছর আমি কোনো জাকাত দেব না। এবার দলের পেছনে ব্যয় করব আমার জাকাতের টাকা। আমাদের কাছে অনেক জায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে, আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি। কারণ তাদের প্রস্তাব রাখলে পরবর্তী আবদারও রাখতে হবে। কারো অন্যায় আবদার রাখতে চাই না। অনেকে টাকা ও অফিস সহযোগিতা করতে চেয়েছে। আমরা নিইনি। কারো কাছ থেকে সহযোগিতা নিলে আমরা আমাদের চিন্তা বাস্তবায়ন করতে পারব না।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কর্নেল (অব.) জাকির, ফরিদপুরের সেনা সিনিয়র অফিসার (অব.) বকতিয়ার হোসেন, সেনা সদস্য (অব.) দেলোয়ার হোসেন, রংপুর ডিভিশন সার্জেন্ট (অব.) ফখরুদ্দিন প্রমুখ।

এমএমআই/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।