ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করল ইসলামী আন্দোলন ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।  

তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

ইসলামী আন্দোলন সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। যখনই আমাদের প্রয়োজন হবে, সুযোগ হবে, আমাদের যা কিছু আছে, সব নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ব।  

শুক্রবার (১০ মে) জুমা শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  

এর আগে, নামাজের সালাম ফিরিয়েই স্লোগানে স্লোগানে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ মুখর করে তোলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ চলাকালে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে নাড়তে থাকেন।

ফয়জুল করীম বলেন, পাসপোর্টের মধ্যে ইকসেপ্ট ইসরায়েল লেখা ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে কত মায়া কান্না! পাসপোর্ট থেকে যখন ইকসেপ্ট ইসরায়েল তুলে দেওয়া হলো, তার মানেটা কী? মানে হলো, তলে তলে তাদের সঙ্গে সব সেট হয়ে গেছে।  

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যদি ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকেন, তাহলে ইসরায়েলের বিপক্ষে একদল বাহিনী গঠন করুন, বাংলাদেশ থেকে তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে যাবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইসরায়েলি পণ্য বয়কট নয়, বাংলাদেশে ইসরায়েলের কোনো পণ্য যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। এটি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ফয়জুল করীম বলেন, রমজানে ইসরায়েলের বিমান বাংলাদেশের এয়ারপোর্টের নামল কীভাবে? এর জবাব বাংলাদেশের জনগণ চায়। গোটা দুনিয়ার মানবতার পক্ষের লোকেরা চায়। ইসরাইলের বিমান অনুমতি ছাড়া কীভাবে এ দেশের বিমানবন্দরে নামল? এর মানে হলো তলে তলে সব হয়ে গেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ নেতা বলেন, আজ বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজ এ ভূখণ্ডকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। বন্ধু বলে যাদের আপন করতে চাই, তারা আমাদের বুকে বারবার গুলি চালাবে, আমাদের ভূখণ্ড দখল করার ষড়যন্ত্র করবে, ইসলামকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করবে, এসব দেশের মানুষ মানতে পারে না। শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, যে ভারত ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে, সে ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ বয়কট করবে।  

কর্মসূচি ঘোষণা করে ফয়জুল করীম বলেন, শুক্রবার দেশের সব উপজেলা, জেলা ও মহানগরে মিছিল করা হবে। ফরিদপুরে যে শ্রমিক ভাইয়েরা হত্যার স্বীকার হয়েছেন, তাদের খুনিরা গ্রেপ্তার হয়নি। সরকার টালবাহানা করলে ফরিদপুরে বিশাল জনসভার ঘোষণা দেব। গোটা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ একত্রিত হয়ে আমরা খুনিদের বিপক্ষে আন্দোলন করব।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় প্রদক্ষিণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।