ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

তালা ভেঙে ইফতার মাহফিলে ড.মঈন খান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
তালা ভেঙে ইফতার মাহফিলে ড.মঈন খান

নরসিংদী: নরসিংদীতে হজবরল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে ওঠা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

এছাড়া তালা ভেঙে ইফতার মাহফিলে প্রবেশ করতে হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  সাবেক মন্ত্রী  ড.মঈন খানকে।  

এসব ঘটনা ক্যামেরায় ধারণ করতে গিয়ে একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে নরসিংদীর পাঁচদোনায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে লালমিয়া কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব ঘটনা ঘটে।

বিএনপির  নেতাকর্মীরা জানায় , নরসিংদীর পাঁচদোনায় লালমিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপি। ওই সময় নেতাকর্মীসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মঈন খান সেখানে গেলে কমিউনিটি সেন্টারটি তালা বদ্ধ দেখতে পান। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারের তালা ভেঙে তাকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।  
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ,ইফতার মাহফিল পণ্ড করতে পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারটিতে তালা লাগিয়ে দেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাঁচদোনা পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ ইউসুফ আহাম্মেদ।  

তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপির ইফতার মাহফিলে বাধা দেবে কীভাবে? সেখানে তো পুলিশ যায়ইনি। তারা নিজেরাই তালা লাগিয়ে পুলিশের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

তালা ভেঙে প্রবেশ করার বিষয়ে ইফতার মাহফিরে ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সরকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামে বিশ্বাসী হতো, তাহলে এ দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার ধর্ম পালনে সুযোগ দিত। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের  দিয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলের কমিউনিটি সেন্টারে তালা দিতো না। সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশ বাংলাদেশে সরকার ইফতার আয়োজন করতে দেয় না তারা। সরকার ধর্ম পালনে বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না।  

তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিতের জন্য। কিন্তু আমরা ইফতার করতে পারবো না ,তা হতে পারে না।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন - পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি মো. এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেন শা শানু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।