ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ আমাদের এক নম্বর শত্রু: ওবায়দুল কাদের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ আমাদের এক নম্বর শত্রু: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ঢাবি): আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ দেশের এক নম্বর শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা সবার অভিন্ন শত্রু।

এগুলোকে রুখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসকে একটি শান্তিময় অবস্থানে রূপান্তর করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জগন্নাথ হল আমার জীবনের এক স্মৃতিময় অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনের সকল কর্মকাণ্ড এখান থেকে পরিচালিত হতো। জগন্নাথ হল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আমরা প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলাম। এরপর বটতলা থেকে ৪ঠা নভেম্বর গণ মিছিল ও শোক শোভাযাত্রা বের করি, যার গন্তব্য ছিল বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসভবন।

জিয়াউর রহমানের সময় রাতে কারফিউ আর দিনে বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৫’এর পরে জিয়াউর রহমান কারাগারে আড়াই বছর জেল খেটেছি। প্রথমে ঢাকা কারাগারে পরে ফরিদপুর কারাগারে। কারাগারে থাকা অবস্থায় আমি খবর পাই আমাকে ছাত্রলীগের কাউন্সিলে সভাপতি করা হয়েছে। আমি গর্বিত, কারাগার থেকে প্রথম সভাপতি ছিলাম আমি। এরপরে আরও অনেক রেকর্ড হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে আমাকে তিন তিন বার আওয়ামী লীগের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আমি ১৬ বছর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। আমি এজন্য‌ও গর্বিত, আমার ধমনীতে ছাত্রলীগের রক্ত প্রবাহিত। আমি ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাসের উত্তরাধিকারী। কাজেই ছাত্রলীগ করলে কেউ হারিয়ে যায় না। কমিটমেন্ট থাকলে জীবনের অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশের রাজনীতিতে আমরা সেতুবন্ধন রচনা করব। এ দেশের রাজনীতিতে আমরা দেয়াল তৈরি করব না। আমরা সেতু বানাব। এটাই হোক আমাদের শপথ। উন্নয়নের ও শান্তির অভিসারী শেখ হাসিনা ভিশন ২০২১ থেকে ভিশন ২০৪১ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। আসুন স্মার্ট বাংলাদেশের কুশীলব হয়ে, কারিগর হয়ে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করি এবং তার হাত শক্ত করি। শান্তির পতাকা উড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার রূপান্তর ঘটাই।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নিজের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা সিক্ত অভিনন্দন জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসকেবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।