ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

কমাতে হবে বেগুনি ও পেঁয়াজু খাওয়া ।। হাসান মামুন

হাসান মামুন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৪
কমাতে হবে বেগুনি ও পেঁয়াজু খাওয়া ।। হাসান মামুন ছবি: সংগৃহীত

ইফতারের বেশ পরে সিএনজি স্কুটারে সোনারগাঁও মোড় থেকে আসাদগেট যেতে রাজি হলাম ১০০ টাকায়। রাস্তা ফাঁকা ছিল।

মিটারে ৪০ টাকাও ভাড়া উঠল না। চালককে বললাম, এটাকে ডাকাতি বললে তুমি কি রাগ করবে? উত্তরে মুখস্থ কিছু সমস্যা বলতে লাগল সে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কথাও তুলল। এর মধ্যে শুরুতেই বলল বেগুনের কথা। এর দাম নাকি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলেও শান্তভাবে বললাম, তো কী হয়েছে? বেগুন কী এমন জরুরি জিনিস? বাজারে তো আরও সবজি রয়েছে, না-কি? ওসব জিনিসের দামও কি দ্বিগুণ হয়ে গেছে?
জানি, দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায়কে জাস্টিফাই করতে বেগুনের প্রসঙ্গ এনেছিল সে। একেই বুঝি বলে,‌‌ ‌ক্রিমিনাল ‌মাইন্ড’। রিকশাচালকদেরও অনেকের মধ্যে ওটা আছে। ছুটিছাটায় রাস্তাঘাট যখন ফাঁকা, তখন বেশি ভাড়া চাওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলবে- আইজ তো খ্যাপ কম’! যাত্রী কম হলে তো বাজারের নিয়মে ভাড়া কমে যাওয়ার কথা। ওই সময়ে যানজট হয় না বলেও ভাড়া কম হওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত। বৃষ্টির সময় রিকশাচালকরা ঠিকই কিন্তু ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ন্যূনতম মানবিক আচরণও করতে চায় না তাদের অনেকে।

যাহোক, বেগুনের প্রসঙ্গে আসি। এ সময়ে বেগুনের দাম বেড়েছে কেন বা কেন প্রতিবার বাড়ে- তা আমরা জানি। লোকে এখন বেশি করে সবজি খায় আর এতে বেগুন যুক্ত করে, তা মোটেই নয়। বেগুন দিয়ে রোজার সময় দেশের শহরাঞ্চলে তৈরি হয় কোটি কোটি বেগুনি। তরল বেসন মাখিয়ে ডোবা তেলে ভাজা এ জিনিসটি খেতে ভালো, কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত নয়। রোজাদারের পক্ষে তো একেবারেই নয়। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ডাক্তাররা পই-পই করে এসব বলছেন আজকাল। কেউ তাদের কথা শুনছে বলে মনে হয় না। বেগুনিসহ ভাজাপোড়া জিনিস তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। খেজুর কীভাবে আমাদের ইফতার আইটেম হয়ে উঠেছে, সেটা আন্দাজ করতে পারি। কারও সুগার সমস্যা না থাকলে এটা কিন্তু ভালো জিনিস। এ ফলের দামও তেমন বেশি নয়। বিপুল সরবরাহের কারণে রমজানের সময়ও দাম অত বাড়ে না। বাড়লেও আপত্তি কী? জিনিস তো ভালো। কিন্তু বেগুনি কেন খাচ্ছি অত দাম দিয়ে? এ পদার্থটি ঢুকলই বা কীভাবে আমাদের ইফতার সংস্কৃতিতে?

রাজনীতিকরা যেসব ইফতার পার্টি করছেন, তাতেও থাকছে বেগুনি। বেগুনি ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি বেগুনি যে তেলে ভাজা হচ্ছে, তা আবার পোড়া। দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকা মানুষটির জন্য এটা আরও ক্ষতিকর। পোড়া তেলে ভেজে আরও অনেক কিছু বিক্রি করা হয়। তবে আলোচনা আপাতত বেগুনিতেই কেন্দ্রীভূত রাখব এজন্য যে, এ কারণে বিশেষ একটি সবজির দাম দ্বিগুণ বা তারও বেশি হয়ে গেছে। রোজায় কোনো সবজির দাম কিন্তু এতটা বাড়েনি। একই প্রক্রিয়ায় আলু দিয়ে তৈরি করা হয় চপ। রোজার শুরুতে তাই আলুর দামও বেড়েছিল। কিন্তু গায়ে লাগেনি। কারণ আলুর দাম বেশ কম ছিল আগে। গেল মৌসুমে প্রচুর আলু ফলিয়ে বরং বিপদে পড়ে কৃষক। রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ করেছিল। এখন তাদের হাতে অবশ্য আলু তেমন নেই। ওটা আছে হিমাগারে, অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের কাছে। আলুর দাম বাড়লে লাভ হবে তাদের। তবে মজুদ বেশি বলে ওটার দাম বেড়েও স্থায়ী হয়নি। কিন্তু বেগুনের দাম কমছে না। এর মজুদ তো বেশি নয়। কী পরিমাণ জমিতেই বা বেগুন ফলানো হয়- উৎকৃষ্ট বেগুনি বানাতে আবার লাগে লম্বা বেগুন। গোল বেগুনের চেয়ে ওটার দাম তাই বেশি হারে বেড়েছে!

একটি বিজনেস ডেইলির স্থানীয় প্রতিনিধি দুঃখ করে লিখেছেন, ময়মনসিংহের মতো জায়গায় বেগুনের আকাল। দেশজুড়ে এত বেগুনি বানানো হলে আকাল হবে না? সিরাজগঞ্জ শহরে বড় হওয়া এক তরুণ বলছিল, স্কুলে পড়ার সময় পর্যন্ত ইফতারে এসব ভাজাভুজি আমরা দেখিনি’। রাজধানী থেকেই ছড়িয়েছে এ সংস্কৃতি। ক’বছর আগে এমনই এক পরিস্থিতিতে রোজায় বেগুনের বদলে বেসনের সঙ্গে ব্যবহৃত হতে থাকল পেঁপে। ওটার নাম হয়ে গিয়েছিল- পেঁপেনি’। কিন্তু স্বাদ বা যে কারণেই হোক, প্রচেষ্টাটি টেকেনি। বেগুনি বহাল তবিয়তে রয়ে গেল। আর তাতে বেগুনের দাম যাচ্ছে বেড়ে। সে প্রসঙ্গ টেনে আবার আড়াইগুণ স্কুটার ভাড়া জাস্টিফাই করতে চাইছে এক স্কুটারচালক। ভাড়া নিয়ে দ্রুত চলে গিয়েছিল সে। নইলে তাকে হয়তো বলতাম, এবার চালের দাম কিন্তু বাড়েনি। আটা-ময়দার দাম কমেছে। কমতির দিকে ভোজ্যতেলের দাম। চিনির দাম বাড়েনি বললেই চলে, যে কারণে সরকারি মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না এ ভরা মৌসুমেও। তাদের চেয়ে কম দামে চিনি জোগাচ্ছে বেসরকারি খাত। বিভিন্ন ডাল, এমনকি ছোলার দামও এবার অত বাড়েনি। মাংসের বাজার স্থিতিশীল। এর প্রধান কারণ, এসব পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো।

নিবন্ধটি লেখার দিন অবশ্য একটি দৈনিকে খবর রয়েছে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বেগুন আমদানি করবে! দেশের ভেতর থেকে সংগ্রহ তো করবেই, প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনবে। এনে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করবে, যাতে দাম কমে আসে। গেলবার নাকি কাঁচামরিচের ক্ষেত্রে তারা এটি করেছিলেন এবং তাতে সুফল মিলেছিল। ব্যবসায়ী সংগঠনটির এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানীর একটি পাইকারি বাজারে গিয়ে তিনি নাকি বেগুনের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়ার মতো কাজ করে এসেছেন। অভিযোগটি স্পষ্ট নয়; তিনি সেটি অস্বীকারও করেছেন। তবে ঘটনার দিন একটি ভালো কথা বলেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। বলেছিলেন, আমিও তো একজন ভোক্তা। অত দাম দিয়ে বেগুন আমি কিনব কেন?

স্বাস্থ্যসম্মত নয় যে বেগুনি, তা না খেলেই হয়। অর্ধেক মানুষ এমন সিদ্ধান্ত নিলে দু’চার দিনেই ওই সবজির দাম কমে আসবে। এও ঠিক, এমনটি রাতারাতি ঘটবে না। রাতারাতি জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেনি ওটা। প্রচারণা চলতে থাকলে তাই ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটবে পরিস্থিতির। এ প্রচারণাও চলা দরকার- যে পণ্যের দাম বাড়বে, সেটি কম কিনব। দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে তার কারণ খতিয়ে দেখব না বা এর প্রতিকার চাইব না, এমনটি বলছি না মোটেই। কিন্তু বেগুনের দাম বাড়ার কারণ তো চোখের সামনে। এবং রোজাদারের জন্য ক্ষতিকর একটি ইফতার আইটেম তৈরির কারণেই এর দাম দুই বা আড়াইগুণ হয়েছে। আরও দু’একটি কারণ রয়েছে বৈকি। যেমন, এ সময়ে দেশজুড়ে বেশি বৃষ্টিবাদল হওয়া। এতে সবজির সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ‘নসিমন-করিমন’ চলাচল ব্যাহত হওয়ায়ও এর সরবরাহ কমার খবর রয়েছে।

এবার পেঁয়াজুতে আসি। বিভিন্ন রকম ডাল ও পেঁয়াজ সহযোগে এটিও ডোবা তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয়। মুখরোচক বটে, তবে রোজাদারের জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলেই চলেছেন- পারলে এগুলো পুরো এড়িয়ে চলতে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি খেতে; পেট ঠা-া থাকে, এমন খাবার খেতে; পুষ্টিকর ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! পেঁয়াজু ছাড়া আমাদের ইফতার যেন অসম্পূর্ণ। অতএব কোটি কোটি পেঁয়াজু তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আর তাতে এ জিনিসের দাম যাচ্ছে বেড়ে। দেশে পেঁয়াজ কিন্তু বেশ উৎপাদিত হয়েছিল এবার। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক। কৃষকের কাছেও এর মজুদ রয়েছে। দেশে পেঁয়াজ সঙ্কট দেখা দিয়ে থাকে বছরের শেষ চার মাসে। রমজান এবার তার আগেই এসে গেছে। কিন্তু মুশকিল হলো, এ সময়ে মূলত পেঁয়াজু বানাতে ওই জিনিসের চাহিদা বেড়ে গেছে অনেক। এতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাও ভালো, বেগুনের মতো এর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়নি।

দামে যেটুকু বৃদ্ধি হয়েছে, এর কারণ আবার বহিঃস্থ। পেঁয়াজের ঘাটতি আমরা মোকাবেলা করে আসছি ভারত থেকে দ্রুত আমদানি করে। প্রধানত আবহাওয়াজনিত কারণে ওখানে পেঁয়াজ উৎপাদন আবার কম হয়েছে এবার। সেখানকার বিরাট মুসলিম সম্প্রদায়ও সিয়াম সাধনা করছে। এ সময়ে ভারতেও বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। রয়েছে আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা। ভারতের নবগঠিত সরকার এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু’দফায় ন্যূনতম রফতানি মূল্য’ বাড়িয়ে দেশের বাইরে পেঁয়াজ সরবরাহ কঠিন করে ফেলেছে। সেটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেও এর দাম বাড়ানো হয়েছে এখানে। অজুহাত বলছি এজন্য যে, ইতোপূর্বে আনা পেঁয়াজের দামও হাঁকা হচ্ছে নতুন আমদানি মূল্যের কথা বলে। আমাদের ব্যবসায়ীরা এটা খুব পারেন। তাদের ছাই দিয়ে ধরার মতো কর্তৃপক্ষও নেই দেশে।

ওটা থাকলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হতো নিশ্চয়। তবে দাম বাড়তই। এর প্রধান কারণ রমজানে আমাদের পেঁয়াজু প্রীতি। পেঁয়াজুর কারণে নানা রকম ডালের দামও বেড়ে যেতে দেখা যায় এ সময়ে। বিপুল পরিমাণ হালিম তৈরির কারণেও ডালের দাম বাড়ে। হালিম অবশ্য ভালো জিনিস। সুস্বাদুও বটে। কিন্তু ডোবা ও পোড়া তেলে ভাজা পেঁয়াজু কেন খাব? আর এজন্য দাম বাড়াব পেঁয়াজের? রোজার সময় সব ধরনের মাংস পরিভোগ বেড়ে যায় বলেও এর দাম বাড়ে। কিছুদিন পরেই কোরবানি ঈদ। তখন আরেক দফা বাড়বে পেঁয়াজের দাম। ততদিনে অক্টোবর-নভেম্বর সময়টাও চলে আসবে। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানির চিন্তা বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারসহ পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক থেকে সহনীয় দামে পেঁয়াজ এনে ঘাটতি পূরণের কথা নাকি ভাবা হচ্ছে। সরকার দেরিতে এটা ভাবছে কিনা, সে প্রশ্নও উঠে গেছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজু বানানো ও তার পরিভোগ কিন্তু কমছে না। পেঁয়াজুর সাইজ ছোট হচ্ছে কিংবা দাম বাড়ছে এর। কিন্তু পেঁয়াজু আমাদের ছাড়ছে না।

এখানকার পণ্যবাজারকে বলা হয় ব্যবসায়ীবান্ধব, অর্থাৎ ভোক্তাবান্ধব নয়। এ অবস্থায় ভোক্তাদের র‌্যাশনাল বা যুক্তিপূর্ণ আচরণ করাটা জরুরি। রোজা শুরুর আগ মুহূর্তে অনেককেই দেখা যায় গাদা-গাদা বাজার করতে। সন্দেহ নেই, তারা ধনী ক্রেতা। বাজার একটু চড়ে গেলেও এরা বিপদগ্রস্ত হবে না। কিন্তু উৎসব করে কেনাকাটা করতে গিয়ে তারা বিপদে ফেলছে স্বল্প আয়ের ও দরিদ্র ক্রেতাদের। চাহিদার চাপ বাড়িয়ে বাজার চড়িয়ে দিচ্ছে তারা। প্রতি শুক্রবারেও তারা করে থাকে এটা। চড়ে যাওয়া কাঁচাবাজারের খবর বেশি করে ছেপে মিডিয়াও বুঝি ঘৃতাহুতি দেয় মূল্যস্ফীতিতে। এগুলো নিয়ে বেশি করে বলা দরকার। বলা দরকার, সংযত হয়ে কেনাকাটা করুন। দেশে তো যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে না যে, একবারে পেঁয়াজ-টেয়াজ কিনে খাটের নিচে সাজিয়ে রাখতে হবে। বাজার থেকে জিনিসপত্র উধাও হয়েও যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো। আমদানিতে কোনো সঙ্কট নেই। আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারেও অস্থিরতা নেই কোনো। সূচক বরং নিম্নগামী।

তাহলে? বাজারের দিকে দৃষ্টি রেখে ভোক্তা হিসেবে যুক্তিপূর্ণ আচরণ করতে হবে। আর পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও দ্রুত কমিয়ে আনতে হবে বেগুনি ও পেঁয়াজু খাওয়া। পেঁয়াজের দাম যেমন-তেমন, বেগুনের দাম এত বেড়ে যাওয়া আর এ নিয়ে আলোচনাটা একদম মানা যাচ্ছে না।


লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট
[email protected]             

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।