ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ভৌগোলিক মুক্তির রোল মডেল, আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

জনগণের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। চাল উৎপাদন, সবজি উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। জনবল রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। শিল্প ক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এ পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতবর্ষ ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন।

অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের এ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ম্যাজিক বা রহস্য কী? এর উত্তর খুঁজলে বর্তমান সরকারের নানা ইতিবাচক উদ্যোগের কথা সামনে চলে আসবে। অন্যতম হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সততা, রাষ্ট্র পরিচালনায় সামগ্রিক দর্শন যার রয়েছে। সর্বোপরি রয়েছে তাঁর পরিবারের দুই বোনের পাঁচ সন্তানের মেধা, সততা এবং নির্লোভ ব্যক্তিত্ব। এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনা হওয়া দরকার সেটি হচ্ছে- মানবতাবাদী দার্শনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি কৌশল। এ নীতি শুধু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নয়, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করায় বড় অবদান রাখছে। আর্থিক প্রযুক্তির বর্ধিত ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে শক্ত অবস্থান তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ফলে অর্থব্যবস্থায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটছে, যা মূলত টেকসই উন্নয়নের অনুঘটক। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের একটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান প্রণয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, একটি দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের বিভিন্ন উদ্যোগ, সংস্কার, আইনি বিধিবিধান ইত্যাদি গ্রহণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংসযজ্ঞ পুনর্গঠন, ১ কোটি দেশ ছাড়া মানুষের পুনর্বাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, খাদ্যাভাব ইত্যাদি কাটিয়ে ওঠার জন্য অর্থনৈতিক ও জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে একটি সম্ভাবনার স্তরে উন্নীত হয়। নিঃসন্দেহে বলা চলে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে যে ধারার সূচনা করেছিলেন তাতে ছিল উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পরিকল্পনা এবং পথচলা। জাতির পিতার ছিল শোষণহীন সমাজ গঠনের আদর্শ, এর জন্য তিনি অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থার সংস্কার এবং জনজাগরণের নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করেন। স্বাধীনতা লাভের পর তিনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন সেটি তাঁর সরকারব্যবস্থা পরিচালনা, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং এ সম্পর্কীয় বক্তৃতাগুলোতে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্রই পাল্টে ফেলা হলো। সামরিক শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাবাদর্শ বাংলাদেশে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। সে কাজটি ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিল। আর এ জন্য বাংলাদেশ অর্থনীতিতে কোনো উন্নয়ন কৌশল যেমন নির্ধারণ করতে পারেনি, আবার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ঘটানোর মতো তেমন কোনো ব্যাপক সংস্কার সাধন করতে দেখা যায়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন কৌশলে দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসন, উৎপাদন বৃদ্ধির নতুন সব কৌশল গৃহীত হয়।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ‘দিন বদলের স্লোগান’ দিয়ে জনগণের মধ্যে আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক-শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ইত্যাদিতে বাংলাদেশকে ঢেলে সাজানোর স্বপ্ন দেখায়। মূলত মানবতাবাদী দার্শনিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুরু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ঝড়ের কবলে পড়ে এ অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার অর্থনীতির চাকায় সঞ্চারিত হয়েছে আগের গতি। এতে ফের ঘুরতে শুরু করেছে চাকা। মেড ইন বাংলাদেশ নামে বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছে পোশাক খাত। ইতোমধ্যে মিলেছে মধ্যম আয় ও উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি। অর্থনৈতিক সামাজিক সূচকগুলোতে ঈর্ষণীয় পরিবর্তন এসেছে। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে মহাকাশে ভাসছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। ওই সময় ৪০ শতাংশ খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। কিন্তু খাদ্য আমদানি করতে হয় না। এ ছাড়া শিল্প খাতের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্ট শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। চীনের পরেই আমাদের অবস্থান। একই অবস্থা সেবা খাতেও। তার মতে, বৈষম্যের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আমাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি উপাধি পাওয়া দেশটি অর্ধশত বছর পেরিয়ে বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। যে দেশকে শোষণ, বঞ্চনা, নানাবিধ আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছিল পাকিস্তান, আজ তারাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে। শুধু তাই নয়, তাদের সংসদেও বাংলাদেশের উন্নয়নের উদাহরণ টানা হয়।

বাংলাদেশের মানুষের উদ্ভাবনী চিন্তাচেতনার বাস্তবায়ন ও উদ্যোগী মনোভাবের কারণে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা হার, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, বৈদেশিক শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জননিরাপত্তা, সামাজিক বৈষম্য নিরসনসহ প্রায় সব সূচকেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার। বর্তমানে তা ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষার হার, চিকিৎসাব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মাথাপিছু আয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেড়েছে।

পরিকল্পিত শিক্ষার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। শিক্ষা একটি দেশের অর্থনীতিতে মানব পুঁজি তৈরি ও জোগান দিয়ে থাকে। যা অর্থনৈতিকভাবে কৃষি, শিল্প, সেবাসহ অন্যান্য সামাজিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিকল্পিত শিক্ষার সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যোগসূত্র রয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, শিক্ষা অবকাঠামো, নতুন কারিকুলাম, বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন; বিশেষ করে কৃষি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কতগুলো উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। সবুজ বিপ্লব, কৃষি বিপ্লব-এগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে আমরা মার্কেট ইকোনমি অর্থাৎ বাজার অর্থনীতির দিকে এগিয়েছি। তখন শিল্প বিকশিত হচ্ছিল। ছোট ছোট শিল্প দিয়ে শুরু। আস্তে আস্তে আমরা বড় শিল্প, বিশেষ করে গার্মেন্ট শিল্প বিকশিত হয়েছে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। যে সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, যে অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন মানুষের, যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন সবার জন্য, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সে পথেই তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ : আওয়ার লং টার্ম প্রজেকশনস ফর ৭৫ কান্ট্রিজ’ শিরোনামের এ রিপোর্টে দেখানো হয়, ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৬ ধাপে উন্নীত হবে, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অধিক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ তালিকায় বাংলাদেশের পরেই ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার নাম এসেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে উন্নত দেশ নরওয়ের চেয়েও বাংলাদেশের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চে বলা হয়, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ৪২তম।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন করছি এবং একটি সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। ’ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধারাবাহিকতা অর্জন গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করেছে। মূলত বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর পাঠানো আয়, তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব দারিদ্র্য কমিয়ে গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। সরকারও পিছিয়ে পড়া এবং অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক কর্মসূচি খাতে অব্যাহতভাবে বাজেট বাড়িয়েছে। দেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি অতি দরিদ্র মানুষ এখন এ কর্মসূচির আওতায়। কারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যথাযথ কর্মসংস্থান করতে না পারলে উন্নয়নের ফল সুদূরপ্রসারী হয় না। শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব সরকার এদিকেও গুরুত্ব দিয়েছে যথার্থ পরিমাণ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ একটি গণমুখী দল। এ দলের লক্ষ্য ক্ষমতায় গিয়ে ভোগের নয়, মানুষের সেবা করার। সেই লক্ষ্য ও ব্রত নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। এ কর্তব্য থেকে আওয়ামী লীগ একটুও পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ একদিকে গণসংগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে, অন্যদিকে সেবার ব্রত নিয়ে সরকার পরিচালনা করে। সুতরাং শেখ হাসিনা আমাদের সব নির্ভরতার ছায়া। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। জয়তু শেখ হাসিনা। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: চিকিৎসাবিদ ও সংসদ সদস্য

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫, ২৫ জুন, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।